এককথায়, তীরে এসে ডুবল তরী। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে চাপে ফেলে দিলেও শেষ অবধি বাজিমাত করতে পারল না পঞ্জাব কিংস। প্রথমে ব্যাট করে প্যাট কামিন্সের দল করে ৯ উইকেটে ১৮২ রান। জবাবে শিখর ধাওয়ানের দলের ইনিংস শেষ হল ৬ উইকেটে ১৮০ রানে। মাত্র ২ রানে হারতে হল তাদের। এদিন পঞ্জাবকে ভোগাল টপ অর্ডারের দিশাহীন ব্যাটিং। টস জিতে ঘরের মাঠে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাব অধিনায়ক ধাওয়ান। আরশদীপ সিংহের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ তেমন কাজে লাগাতে পারেনি হায়দরাবাদ। তবু নীতীশ রেড্ডির ৬৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে যান কামিন্সেরা। হায়দরাবাদের ইনিংসের শুরুটা খারাপ করেননি ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। যদিও বড় রান পেলেন না কোনও ওপেনারই। হেড ১৫ বলে ২১ রান করলেন। মারলেন ৪টি চার। অভিষেকের ব্যাট থেকে এল ১১ বলে ১৬। ২টি চার এবং ১টি ছয় মারলেন। রান পেলেন না তিন নম্বরে নামা এডেন মার্করাম (০)। মোহালির ২২ গজে ব্যর্থ হলেন রাহুল ত্রিপাঠী (১১), হেনরিক ক্লাসেনের (৯) মতো ব্যাটারেরাও। ধারাবাহিক উইকেট হারানোর মধ্যেই দলের ইনিংসকে টানলেন চার নম্বরে নামা নীতীশ। তাঁর ইনিংসই মূলত কামিন্সদের লড়াই করার মত জায়গায় পৌঁছে দিল। তাঁকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন আবদুল সামাদ। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস। ৫টি চার মারলেন সামাদ। নীতীশ খেললেন ৩৭ বলে ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ৪টি চার এবং ৫টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংস সাজালেন ২০ বছরের ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তাঁদের জুটিতে ৫০ রান ওঠে। পরের দিকে রান পেলেন না কামিন্স (৩)। শেষ দিকে বাংলার শাহবাজ় আহমেদ খেললেন ৭ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। একটি করে চার এবং ছয় মারলেন। ভুবনেশ্বর করলেন ৮ বলে ৬ রান। ১ বলে ৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন জয়দেব উনাদকাট।
এদিন পঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সফলতম আরশদীপ। ২৯ রানে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। তাঁর বল সামলাতে সমস্যায় পড়লেন হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা। এ ছাড়া ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট হর্ষল পটেলের। ৪১ রানে ২ উইকেট নিলেন স্যাম কারেনের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পঞ্জাব। ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ধাওয়ান (১৪), জনি বেয়ারস্টো (০), প্রভসিমরন সিংহেরা (৪) পর পর ফিরে যান। বেয়ারস্টোকে আউট করেন কামিন্স। অন্য দু’জনকে ভুবনেশ্বর। দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করলেও বড় রান করতে পারলেন না কারেন। তিনি ২২ বলে ২৯ করেন ২টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে। এর পর দলের ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা করেন সিকান্দার রাজা এবং শশাঙ্ক সিংহ। তাঁরাও সফল হলেন না। রাজা করলেন ২২ বলে ২৮। ২টি করে চার এবং ছয় মারলেন উনাদকাটের বলে আউট হওয়ার আগে। কিছুটা চেষ্টা করলেন জিতেশ শর্মাও। ১টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে তিনি করলেন ১১ বলে ১৯ রান। শশাঙ্কের ব্যাট থেকে এল ২৫ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৬টি চার, ১টি ছয় মারলেন। আশুতোষ শর্মা অপরাজিত থাকলেন ১৫ বলে ৩৩। মারলেন ৩টি চার ২টি ছয়। কামিন্স, ভুবনেশ্বর ছাড়া টি নটরাজন, উনাদকাটও ভাল বল করলেন। উইকেট নিলেন নীতীশও। ভুবনেশ্বর ৩২ রানে ২ উইকেট নিলেন। হায়দরাবাদ অধিনায়ক ১ উইকেট নিলেন ২২ রান দিয়ে। নটরাজন ১ উইকেট পেলেন ৩৩ রানে। নীতীশও ৩৩ রান খরচ করে ১ উইকেট পেলেন। ৫৬ রান খরচ করে ১ উইকেট পেয়েছেন উনাদকাট। ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নীতীশ রেড্ডিকে।