গত ৬ মার্চ অনশন শুরু করেছিলেন তিনি। সেই থেকে ২১ দিন ধরে কেবলমাত্র লবণ আর জল খেয়ে প্রাণরক্ষা করছিলেন। অবশেষে ২১ দিন পর ২৭ মার্চ অনশন প্রত্যাহার কটপন শিক্ষা সংস্কারক তথা পরিবেশবিদ সোনম ওয়াংচুক। তবে অনশন প্রত্যাহারের লগ্নেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, লাদাখের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে। সেই মতই এবার সোনমের ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছে লাদাখের নারী শক্তি। ২৭ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ক্লাইমেট ফাস্ট’ কর্মসূচির গুরুদায়িত্ব তুলে নিয়েছেন লেহ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মা বোনেরা।
অনশনরত সোনম ওয়াংচুক জানিয়েছিলেন, লাদাখের জলবায়ু, পরিবেশ রক্ষার লড়াই এখনই বন্ধ হবে না। দাবি না মেটা অবধি ‘অহিংস’ আন্দোলন চলতে থাকবে। সোনমের সেই হুঙ্কার যে ফাঁকা আওয়াজ নয়, তার প্রমাণ মিলছে তাঁর ছেড়ে যাওয়া অনশনমঞ্চেই। সেখানে এখন উপস্থিত বিভিন্ন বয়সের মহিলারা। তাঁদের মধ্যে কেউ লাগাতার অনশন করছেন, তো কেউ আবার করছেন রিলে অনশন। গৃহবধূ থেকে বৃদ্ধা মহিলারাও নিজেদের দাবি মেটাতে মাইনাস তাপমাত্রার মধ্যে খোলা মাঠে রাত কাটাচ্ছেন।
অনশনমঞ্চে উপস্থিত ৬৮ বছরের ওয়াংডো মাইঝি বলেন, ‘রেশন বন্ধ করে দিয়েছে। কাউকে সরকারি চাকরি দেয় না। আমরা যে মোদীর কোন পাকা ধানে মই দিয়েছি, কে জানে?’ লেহ পার্শ্ববর্তী চোকলাম সার গ্রামের ৪৬ বছর বয়সি কুনজিস লামোর আক্ষেপ, ‘আশ্চর্যের বিষয় কী জানেন? বিজেপির একজন নেতাও এখনও পর্যন্ত এখানে আসল না। আমাদের আন্দোলন তো কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। লাদাখের জন্য। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই সোনমের জন্য আসেনি। এখন তো উনি অনশন করছেন না। তবু সময় পাচ্ছে না? এতেই প্রমাণ হয়, ওরা লাদাখের কথা ভাবে না।’