একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। ভোটে জিতে তৃতীয় বার সরকার গঠনের পরই সেই বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রকল্পে আবেদনকারী মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করে তাঁর সরকার। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সেই প্রকল্পে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ১ এপ্রিল অর্থবর্ষের প্রথম দিনে দেশের সব ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় বর্ধিত লক্ষীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া যাচ্ছে না উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক খুললেই যাতে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পৌঁছে যায়, যৌথ ভাবে তার বন্দোবস্ত করছে রাজ্যের অর্থ ও সমাজকল্যাণ দফতর। সোমবার সে বিষয়ে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ১ এপ্রিল থেকে বাড়ানো হবে লক্ষীর ভান্ডারের প্রদেয় অর্থের পরিমাণ। ওই প্রকল্পে সাধারণ সম্প্রদায়ের তালিকাভুক্ত মহিলারা ৫০০ টাকা করে পেতেন। এখন তাঁরা পাবেন দ্বিগুণ, ১০০০ টাকা করে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি তালিকাভুক্ত মহিলারা এত দিন ১০০০ টাকা করে পেতেন। এ বার থেকে তাঁরা পাবেন ১২০০ টাকা করে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণা কার্যকর করতে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে লক্ষীর ভান্ডারের বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটের সময় ‘আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি’ চালু হওয়ার কারণে প্রকল্পের অর্থ দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে বিষয়েও বন্দোবস্ত করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। নবান্ন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ২ কোটি ১৬ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বর্ধিত অর্থ পাঠানো হবে। এ জন্য শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই রাজ্য সরকারের খরচ হবে প্রায় ২,২৩০ কোটি টাকা।