সামনেই লোকসভা নির্বাচন। জোরকদমে চলছে প্রচার। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর কেন্দ্র থেকে এবার পঞ্চায়েত রাজনীতি থেকে উঠে আসা যুব নেতা বাপি হালদারকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। ঘরের ছেলে বা পাশের বাড়ির ছেলে হিসাবেই পরিচিত তিনি। তার সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করে যাওয়ায় রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন বাপি। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ সাগর ব্লকের ডুবন্ত দ্বীপ তথা ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন পাত্রপাড়ার বিশালাক্ষী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। প্রথম দিকে পায়ে হেঁটে ওই দ্বীপের বেশ কয়েকটি এলাকায় তিনি ঘুরে বেড়ান। এরপর নিজে বাইক চালিয়ে প্রায় পুরো দ্বীপটিতেই জনসংযোগ করেন। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু বাসিন্দার সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। তাঁদের অভাব ও অভিযোগের কথা শোনেন। প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার ও সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে কাছে পেয়ে ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা একযোগে কংক্রিটের স্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণের দাবি তোলেন। এ বিষয়ে ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দুলাল মণ্ডল বলেন, প্রায় প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই দ্বীপটি ডুবে যায়। দ্বীপের চারিদিকই এখন নদীর কবলে। নদীর গ্রাসে পড়ে এই দ্বীপের আয়তন এখন অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। এই পঞ্চায়েতের বহু মানুষ এখন ভিটেমাটি হারা। দ্বীপের প্রধান সমস্যা হল নদী বাঁধ। তাই এলাকাবাসীরা প্রার্থীকে কাছে পেয়ে স্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণের আবেদন জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপি বলেন, “এই দ্বীপের বড় সমস্যা নদী ভাঙন। এই সমস্যার যাতে সমাধান করা যায়, সেই বিষয়ে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছি। তবে এই দ্বীপের বেশিরভাগই সব রাস্তা কংক্রিটের হয়ে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসী খুশি। তিনি আরও বলেন, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে এই এলাকার নদী বাঁধ মেরামতের কাজ করা হত। প্রায় দু’বছর সেই কাজ বন্ধ থাকার কারণে এলাকাবাসীরা কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ক্ষুব্ধ রয়েছেন।” এছাড়াও এই এলাকায় বেশ কিছু মাটির বাড়ি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁরা টাকা পাননি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।