ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে ৪২ জনের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে স্নায়ুযুদ্ধে আগেই অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল। যেখানে প্রথম দফায় অর্ধেকের কম আসনে প্রার্থী ঘোষণার পর এতদিন কোনও উচ্চবাচ্যই করছিল না গেরুয়া শিবির। বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে দোলের ঠিক আগের দিন বাংলার জন্য আরেক দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। আর তারপর থেকেই বাইরে আসতে শুরু করে দিয়েছে দলের অন্তর্কলহ। বুধবার তা চরম আকার ধারণ করে। প্রকাশ্যে পোস্টার দিয়ে প্রার্থীর বিরোধিতা করা হয়। এমনকী তাতে শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে দমদম কেন্দ্রে এবং বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী প্রার্থী ঠিক করেছেন বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই নাকি ছন্নছাড়া ভাব দেখা গিয়েছে। আর বেশ কিছু আসন এই কারণেই হাতছাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজেপির কর্মীরা। এবার লোকসভা নির্বাচনে দমদম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। এই প্রার্থীকে মেনে নিতে রাজি নয় বিজেপির কর্মীরা। পোস্টারে সেই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থীকে মানা হবে না বলে পড়ল পোস্টার। অন্যদিকে, বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি খালি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস রায় এখন দলবদল করে বিজেপিতে গিয়েছেন। ফলে আসনটি খালি হয়েছে। এখানে প্রার্থী করা হয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সজল ঘোষকে। তাই পোস্টারে লেখা হয়েছে, দমদম লোকসভা কেন্দ্র এবং বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া করার চক্রান্ত করা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী মানছি না, মানব না।