বাংলার বাকি আসনগুলির প্রার্থীতালিকা ঘোষিত হতেই প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে পদ্মশিবিরের আভ্যন্তরীণ কোন্দল। প্রার্থী পছন্দ নয়, বদল করতেই হবে, এমনই দাবিতে বুধবার ভগবানগোলার বরবরিয়ায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মুর্শিদাবাদ লোকসভা ও ভগবানগোলা উপনির্বাচনে প্রার্থীদের বদলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ঘটনার দায় এড়িয়েছেন। যদিও প্রথম থেকেই মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষকে সরানোর দাবিতে গত ১১ই মার্চ লালবাগ শহরে মিছিল হয়। মিছিলে মুর্শিদাবাদ লোকসভার সমস্ত বিধানসভার নেতা ও কর্মীরা হেঁটেছিলেন। দুর্নীতিবাজ, আর্থিক ও গ্যাস কেলেঙ্কারির নায়ক বলেও আক্রমণ করা হয় গৌরীশঙ্কর ঘোষকে।
প্রসঙ্গত, ভগবানগোলা বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ভাস্কর সরকারের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। দলের অন্দরে ক্ষোভ শুরু হয়। প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। প্রার্থীর নামে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভগবানগোলার বরবরিয়ায় দুই প্রার্থীর পরিবর্তনের দাবিতে নেতা ও কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। ভগবানগোলা বিধানসভার বিজেপির এসসি মোর্চার কনভেনর কুলদীপ চৌধুরীর দাবি, প্রার্থীকে দলের কেউ চেনেন না। তাঁর কোনও পরিচিতি নেই। বিজেপি কর্মীদের সাফ বক্তব্য, প্রার্থীকে তাঁরা মানছেন না। লোকসভার প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ নানান আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, বলেও জানান বিজেপি কর্মীরা। অনেকেই বলছেন, বিধানসভা ভোটের সময় ভাস্কর সরকার জানিয়েছিলেন তিনি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। কারও কারও প্রশ্ন, ভাস্কর কবে বিজেপিতে যোগ দিলেন কেউ জানতে পারেননি। দাবি করা হচ্ছে, দলের নেতা ও কর্মীদের অন্ধকারে রেখেই প্রার্থী করা হয়েছে ভাস্করকে। যা ঘিরেই ঘনীভূত হয়েছে অসন্তোষ।