ক্রমশ এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। তবুও অন্তর্দ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। বারাসতে পদ্ম-প্রার্থী নিয়ে মাথাচাড়া দিল ক্ষোভ। বিজেপি প্রার্থীর মাদকযোগ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ওঠার পর এবার পোস্টার পড়ল বারাসতের বিভিন্ন জায়গায়। বুধবার সকালে বারাসতে বিজেপি অফিসের সামনে একাধিক পোস্টারকে ঘিরে বিড়ম্বনায় পড়েছে পদ্মপার্টি। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সবটাই তৃণমূলের চক্রান্ত। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, যা সত্যি, তাই পোস্টার সেঁটে জানিয়েছেন তাদের দলের নেতারা। বিগত ২০১৭ সালে মাদক পাচারের অভিযোগে অসমে গ্রেফতার হন বনগাঁর গোপালনগরের বাসিন্দা স্বপন মজুমদার। ১০ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। তিনি বর্তমানে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক। শুধু তাই নয়, এবার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তিনি। মাদক পাচারে অভিযুক্ত এক নেতাকে বারাসতে প্রার্থী করায় বিজেপির অন্দরে রয়েছে চাপা অসন্তোষ।
এদিন বারাসতের হরিতলা সংলগ্ন বিজেপি অফিসের আশপাশ কার্যত ছয়লাপ হয়েছে স্বপন বিরোধী পোস্টারে। যেখানে লেখা, স্বপন মজুমদার মাদক পাচারে জড়িত। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এমনিতেই অনেক দেরিতে বারাসতে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে। তার উপর প্রার্থীকে নিয়ে একাধিক পোস্টারকে ঘিরে বেশ অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। এই ইস্যুতে সম্প্রতি সরব হয়েছিল তৃণমূল। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে স্বপনকে নিশানা করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লেখেন, “ইনিই কি বিজেপির এ বারের বারাসতের প্রার্থী? যদি হন, তা হলে তিনি মাদক-কাণ্ডে ঘোষিত অপরাধী। বিজেপি ব্যাখ্যা দিক।” কুণাল তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে একটি খবরের কাগজের কাটিং ও ২০২১-র বিধানসভা ভোটে মনোনয়নপত্রে স্বপনের উল্লেখ করা, মাদক আইনে মামলা থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি প্রার্থী বদলের দাবি জানিয়েছিলেন অশোকনগর বিড়া রাজীবপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী শ্যামল দাসও। “দল যাকে প্রার্থী করেছে তিনি ড্রাগ মাফিয়া। এমন একজন প্রার্থীর হয়ে আমরা কীভাবে ভোট চাইতে যাব? এটা লজ্জার”, লিখেছিলেন তিনি।