গত ৬ মার্চ অনশন শুরু করেছিলেন। সেই থেকে ২১ দিন ধরে কেবলমাত্র লবণ আর জল খেয়ে প্রাণরক্ষা করছিলেন তিনি। অবশেষে ২১ দিন পর অনশন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষা সংস্কারক তথা পরিবেশবিদ সোনম ওয়াংচুক। তবে অনশন প্রত্যাহার করলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লড়াই চলতেই থাকবে। তাঁর কথায়, আমি লাদাখের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য তৈরি রয়েছি। সেই লড়াই আমাদের চলতেই থাকবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে রাজ্যের মর্যাদা ও সাংবিধানিক রক্ষাকবচের দাবিতে ৬ মার্চ থেকে লেহতে অনশন ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছিলেন সোনম। উল্লেখ্য, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল দেশের উপজাতি এলাকার জন্য জমির সুরক্ষা এবং নামমাত্র স্বায়ত্তশাসনের গ্যারান্টি দেয়। ২০১৯ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের (জে ও কে) বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বিলুপ্তির অংশ হিসাবে, নয়াদিল্লি লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (ইউটি) মর্যাদা দিয়েছে। ওয়াংচুক লেহ ও কার্গিল জেলার জন্য পৃথক লোকসভা আসন, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং লাদাখের জন্য পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন চেয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তকমা লাদাখকে শিল্প শোষণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে যা হিমালয় অঞ্চলের ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে।