প্রায় দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তবুও আভ্যন্তরীণ কোন্দল পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। উল্লেখ্য, বাংলার বাকি ২৩ আসনে এখনও প্রার্থী দেয়নি পদ্মশিবির। শোনা যাচ্ছে, প্রবল কোন্দল চলছে বেশ কিছু আসন ঘিরে। তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং লোকসভা আসনও, বিজেপির জেতা আসনটিতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রার্থী নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বিজেপি প্রতিবার দার্জিলিঙে নতুন প্রার্থী দেয়। সম্ভবত এবারেও সেই ট্রেন্ড বজায় থাকতে চলেছে। মোদী ও শাহ-ঘনিষ্ঠ আমলা হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ওই আসনে টিকিট পাচ্ছেন খবর জল্পনা রয়েছে। শুক্রবার দিল্লীতে ছিলেন শ্রিংলা। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, গতকালই তাঁর দলে যোগদানের কথা ছিল। তবে কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, তিনিই আসন্ন লোকসভা ভোটে দার্জিলিং কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। খবর ছড়িয়ে পড়তেই দার্জিলিঙের বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তার দলবদলের জল্পনা উদ্ভূত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের মতানুযায়ী দার্জিলিং লোকসভা আসনে রাজু বিস্তা টিকিট না পেলে জেলা বিজেপিতে অচলাবস্থা তৈরি হবে। সূত্রে খবর, অন্য কাউকে প্রার্থী করা হলে বহু নেতা-কর্মী মেনে নেবেন না। তাঁরা বসে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। রাজু বিস্তার দল ছাড়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দার্জিলিঙের সাংসদের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে দল বদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে। এ যাবৎ তাঁর প্রতিটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির শেষে লেখা থাকত, রাজু বিস্তা, সাংসদ দার্জিলিং এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র। কিন্তু শনিবারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, রাজু বিস্তা, সাংসদ দার্জিলিং। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র পদের উল্লেখ নেই। তবে কি বিজেপি ছাড়তে চলেছেন রাজু বিস্তা? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই পাহাড়ের বিজেপি কর্মীরা দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছেন। শ্রিংলার প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হওয়ায়, নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন রাজু বিস্তার অনুগামীরা। ভোটের আগে এহেন পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বেড়েছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।