ভোট প্রচারের সভা শুরু করে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সভা হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের ময়নাগুড়ি ও গঙ্গারামপুরে। সভা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নেলদা ও বসিরহাটে। এবার পালা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার। এবার সেখানেই হতে চলেছে অভিষেকের সভা।
আজ পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম মহকুমা শহর কাটোয়ার বুকে সভা অভিষেকের। কাটোয়া স্টেডিয়াম মাঠে দুপুর ২টো থকে হবে সেই সভা। অভিষেক ছাড়াও সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং জেলার সব তৃণমূল বিধায়কেরা। পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ড. শর্মিলা সরকারের সমর্থনে সেই সভা করবেন অভিষেক। ওই সভাকে ঘিরে এখন তুঙ্গে উঠেছে জেলার জোড়াফুল শিবিরের তোড়জোড়।
পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সাল থেকেই জিতে আসছে তৃণমূল। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন বাম শিবির থেকে আসা বিধায়ক সুনীল কুমার মন্ডল। ২০১৯ সালেও তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী করেছিল এবং তিনি জিতেওছিলেন। কিন্তু তারপরেই তিন যোগ দেব বিজেপিতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মাটিতে বিজেপির ভরাডুবি দেখে তিনি তৃণমূলে ফের ফিরে এলেও সেভাবে আর কদর পাননি। গুরুত্বও ফিরে পাননি।
এবারে তৃণমূলের তরফে পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে পেশায় চিকিৎসক এবং জেলার ভূমিকন্যা ড. শর্মিলা সরকারকে। তাঁর আদি বাড়ি কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ গ্রামে। যদিও এখন তিনি কলকাতার দমদমের বাসিন্দা। তবুও তাঁকে প্রার্থী হিসাব পেয়ে খুশি জোড়াফুল কর্মীরা। রাজনীতিতে এই প্রথম পা রাখছেন শর্মিলা। তাঁর পরিবারের সদস্য পঞ্চায়েতের প্রধান হলেও তিনি নিজে এর আগে কোনওদিন রাজনীতির মাঠে পা রাখেননি। গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাই এখন তৃণমূলের দুর্গে পরিণত হয়েছে। উনিশের ভোটেও যেমন এই লোকসভা কেন্দ্রের দখল তৃণমূল ধরে রেখেছিল, তেমনি একুশের ভোটেও জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জোড়াফুল ফুটেছে। তারওপর কাল সভা থাকছে অভিষেকের। আগামী দিনে আসবেন মমতাও। তাই নির্ভয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন শর্মিলাও। দেখার বিষয় অভিষেক কোন বার্তা দেন কাটোয়ার সভা থেকে।