জল্পনা চলছিলই। বৃহস্পতিবার দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। আর তার কিছুক্ষণ পরেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন সন্ধ্যাতেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোনও। অবশেষে গ্রেফতার হলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী। কদিন আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার গ্রেফতার হলেন আর এক মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। নির্বাচনের আগে মোদী সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল। এর আগে দিল্লীর প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সঞ্জয় সিং ও সত্যেন্দ্র জৈনের মতো আপ নেতাও।
উল্লেখ্য, আপের তরফে জানানো হয়েছে, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হলেও দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরাবে না দল। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর তাঁর বাড়ির সামনে উপস্থিত মন্ত্রী আতিশি বলেন, ”অরবিন্দ কেজরিওয়ালই দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। এতে কোনও দ্বিমত নেই। আমরা শুরু থেকেই পরিষ্কার করে দিতে চাই, উনি জেলের ভিতর থেকেই কাজ করবেন। কোনও আইন তাঁকে আটকাতে পারবে না। উনি দোষী সাব্যস্ত হননি।” সেই সঙ্গেই তাঁর তোপ, ”বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদির চক্রান্তেই ওঁর এই গ্রেফতারি। দুবছর আগে এই নিয়ে মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত ১ টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি ইডি বা সিবিআই। অথচ আপ নেতা ও মন্ত্রীদের বাড়িতে হাজারেরও বেশি হানার ঘটনা ঘটেছে।” এদিকে এদিন বিকেলেই ইলেক্টোরাল বন্ডের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন কমিশন। থেকে দাতা ও গ্রহীতা, সবাইকেই চিহ্নিত করা যাবে। অর্থাৎ কোন রাজনৈতিক দল কার কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছে সেটা পরিষ্কার বোঝা যাবে। এই বিষয়টি থেকে সকলের নজর সরাতেই কি এদিনই গ্রেফতার করা হল কেজরিওয়ালকে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।