রবিবার মুম্বইয়ের সভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, সবাই ভাবেন যে আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এটা সত্যি নয়। হিন্দুধর্মে শক্তি বলে একটা শব্দ আছে। আমরা একটি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর কথার অর্থ পালটে দিয়ে ধর্মীয় যোগ টেনে এনেছেন। এই পরিস্থিতিতে রাহুল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি অধর্ম, দুর্নীতি ও অসত্যের শক্তির কথা বলেছেন। আর সেই শক্তির ‘দাস’ হলেন মোদী।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমার কথা পছন্দ হয় না মোদীজির। কোনও না কোনওভাবে উনি সবসময় আমার কথার মানে পালটে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ উনি জানেন যে আমি একেবারে সত্যি কথা বলেছি।’ সেইসঙ্গে রাহুল দাবি করেন, তিনি যে শক্তির কথা বলছেন, সেই শক্তির বিষয়ে খুব ভালোভাবেই জানেন মোদী। রাহুলের কথায়, ‘ওই শক্তিকে আমি চিনি। ওই শক্তিকে নরেন্দ্র মোদীজি চেনেন। ওই শক্তি কোনওরকম ধর্মীয় শক্তি নয়। বরং ওটা অধর্ম, দুর্নীতি ও অসত্যের শক্তি। তাই আমি যখনই ওই শক্তির বিরুদ্ধে সুর চড়াই, তখনই মোদীজি ও তাঁর মিথ্যার মেশিন চটে যান।’
ওই শক্তির বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেন, ‘আমি যে শক্তির কথা বলেছিলাম, সেই শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি, আর যে শক্তির মুখোশ হলেন মোদীজি। ওটা এমন একটা শক্তি, যা আজ ভারতের কণ্ঠস্বর; সিবিআই, আয়কর দফতর, ইডি, নির্বাচন কমিশন, মিডিয়া, ভারতের উদ্যোগপতি মহল, ভারতের সাংবিধানিক কাঠামোকে দমিয়ে রেখেছে। ওই শক্তির জন্যই ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া হাজার-হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেন নরেন্দ্র মোদীজি, যখন কয়েক হাজার টাকার ঋণ চোকাতে না পেরে ভারতীয় কৃষকরা আত্মহত্যা করেন।’