ঘোষিত হয়ে গিয়েছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই অন্তর্দ্বন্দ্বের সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। ইতিমধ্যেই বাংলার একাধিক স্থানে পদ্ম-প্রার্থীদের ঘিরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে খোদ দলের অন্দরেই। অন্যদিকে, বিজেপির অন্দরের খবর; বাংলার তেইশ আসনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না প্রার্থী! বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী ঠিক করতে বেগ পেতে হচ্ছে বিজেপিকে। ওই আসনটি বিজেপির দখলে রয়েছে। দলের দুই দফার প্রার্থী তালিকায় বিদায়ী সাংসদ সুরিন্দ সিং আলুওয়ালিয়ার নাম নেই। তাঁকে ফের ওই আসনে দাঁড় করানো হবে কি না, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রার্থী হিসেবে বিধায়িক অগ্নিমিত্রা পলের নাম ঘোরাফেরা করছে, কিন্তু তিনি আসানসোল উপনির্বাচনে জিততে পারেননি। শোনা যাচ্ছে, লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে প্রার্থী করা হতে পারে। দলের আদি নেতারা বলছেন, বহিরাগত প্রার্থী নয়। সুরিন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া বাইরে থেকে এসেছিলেন, জেতার পর আর তাঁকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের। তাই বাইরের প্রার্থীতে মোটেও খুশি নন তাঁরা।
এপ্রসঙ্গে বিজেপির প্রবীণ নেতা নরেশ কোনারের কথায়, জেলায় বহু যোগ্য মুখ রয়েছেন। তাঁদের সবসময় পাওয়া যায়। বাইরের কেউ প্রার্থী হলে তাঁকে পাওয়া যাবে না। আলুওয়ালিয়াকে প্রয়োজনে পাননি বলেও অভিযোগ তাঁর। কারও কোনও সার্টিফিকেট দরকার হলে কালঘাম ছোটাতে হয়েছে। বিজেপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, বাইরে থেকে কাউকে আনা হলে প্রতিবাদ হবে। দলের একাংশের মতে, জেলায় হেভিওয়েট মুখ নেই। ফলে আসন ধরে রাখা দলের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। কর্মীদের আবেগ বা উন্মাদনা নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেন্দ্রের প্রতিটি এলাকায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। জেলায় সংগঠনের হাল দেখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হতাশ। লোকসভা কেন্দ্রের অধিকাংশ বুথে বিজেপির কমিটি নেই। নির্বাচনে কীভাবে লড়াই হবে, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন দলের লোকেরাই। কর্মীর অভাবে সব বুথে এজেন্ট বসানোই এখন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আভ্যন্তরীণ কোন্দল পিছু ছাড়ছে না। নেতাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা গোষ্ঠী আছে। যা স্বাভাবিকভাবেই মাথাব্যথা বাড়িয়েছে গেরুয়া-নেতৃত্বের।