জমজমাট হয়ে রইল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অফ সিক্সটিনের দ্বিতীয় পর্ব। বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হল পেনাল্টি শুটআউটে। দু’টি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক অ্যাটলেটিকোর গোলকিপার জান ওবলাক। অন্য ম্যাচে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড হারিয়েছে পিএসভি আইন্দোভেনকে। প্রসঙ্গত, ইন্টারের ঘরের মাঠে ০-১ ব্যবধানে হেরে এসেছিল অ্যাটলেটিকো। বুধবার ঘরের মাঠে তারা ৩৩ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে। গোল করেন ফেদেরিকো দিমার্কো। দু’মিনিট পরেই সমতা ফেরান আঁতোয়া গ্রিজম্যান। পরে আরও একটি গোল করেন মেম্পিস দেপাই। দুই পর্ব মিলিয়ে খেলার ফল ২-২ থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে দুই দলের কাছেই সুযোগ এসেছিল। কিন্তু অ্যাটলেটিকোর জমাট রক্ষণ ভেদ করতে ব্যর্থ হয় ইন্টার।
এরপর পেনাল্টি শুটআউটে আলেক্সিস সাঞ্চেস এবং ডেভি ক্লাসেনের শট বাঁচিয়ে দেন ওবলাক। ইন্টার গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো সাউল নিগুয়েজের শট। ইন্টারকে খেলায় থাকতে হলে শেষ শটে লাউতারো মার্তিনেসকে গোল করতেই হত। কিন্তু তিনি বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। ফলত শুটআউটে ৩-২ জিতে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে অ্যাটলেটিকো। ম্যাচের নায়ক ওবলাক জানান, “শুটআউটে ভাগ্যের উপরে কিছুটা নির্ভর করতেই হয়। ফুটবলার কোন দিকে শট নেবে সেটা আগে থেকে বুঝে ঝাঁপাতে হয়। যদি কেউ নিখুঁত শট নেয় সেটা বাঁচানো অসম্ভব। আমি দুটো শট বাঁচাতে পেরে খুশি। তবে জয়টাই আমার কাছে আসল।” ম্যাচের পর কেঁদে ফেলেন আতলেতিকোর কোচ দিয়েগো সিমিয়োনে। পরে বলেন, “আবেগ সামলাতে পারিনি। সমর্থক এবং ফুটবলারদের জন্য ভাল লাগছে। আবার আমরা ইউরোপের সেরা আট দলের মধ্যে চলে এলাম।” পাশাপাশি, ডর্টমুন্ড এবং আইন্দোভেনের খেলা প্রথম পর্বে ১-১ ড্র হয়েছিল। বুধবার ঘরের মাঠে দ্বিতীয় পর্বে জ্যাডন স্যাঞ্চো এবং মার্কো রিউসের গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ডর্টমুন্ড।