প্রবল চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। একটি ঘর থেকে উদ্ধার হল মা ও শিশুর নিথর দেহ! ঘটনাটি নৈহাটি পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লীর। রোজ মদ খেয়ে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে মারধর করত স্বামী। মহিলা ভেবেছিলেন, সন্তান হওয়ার পর হয়তো পরিস্থিতি বদলাবে। কিন্তু পরিস্থিতি তো বদলায়নি। উল্টে স্বামী কাজে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছিল। তারপর রোজগার করতে নেমেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু তাতেও অশান্তি থামে না। শেষমেশ ঘর থেকে উদ্ধার হল সেই মহিলা ও তাঁর সন্তানের প্রাণহীন দেহ। খুন না আত্মহত্যা, না নিয়ে সন্দিহান পুলিশও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম বিশ্বমিত্রা অধিকারী ওরফে প্রিয়াঙ্কা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে শুভঙ্কর অধিকারী ভালবেসেই বিশ্বমিত্রা অধিকারী ওরফে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করেন। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নেশা করে অত্যাচার করত শুভঙ্কর। নিত্যদিন অশান্তি হত তাদের মধ্যে।
এবিষয়ে প্রতিবেশীরা জানাচ্ছে, রবিবার সকালে বিবাদ চরমে ওঠে। এরপর শুভঙ্করকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা। ঘরে প্রিয়াঙ্কা তাঁর ছেলে সৌমিককে নিয়ে ছিলেন। প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন, হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিকালে দীর্ঘক্ষণ প্রিয়াঙ্কাকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপর তাঁরা ঘরের দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন চার বছরের সৌমিকের গলায় ফাঁস লাগানো। পাশেই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন প্রিয়াঙ্কা। প্রতিবেশীরাই দ্রুত নৈহাটি থানায় খবর দেন। নৈহাটি থানার পুলিশ গিয়ে মা ও শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য নৈহাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশকে একটা বিষয় ভাবাচ্ছে। আদৌ একটা খুন না আত্মহত্যা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্বামী শুভঙ্কর অধিকারীকে আটক করেছে পুলিশ।