প্রায় শেষ লগ্নে বই-উৎসব। আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবারই পরিসমাপ্তি ঘটবে ৪৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার। গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতা বইমেলা উপচে পড়েছে ভিড়। ২৮শে জানুয়ারি ছিল বইমেলার শেষ রবিবার। ছুটির দিনে বইমেলায় উপচে পড়া ভিড়ের আশা করেছিলেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু রবিবার প্রত্যাশা মতো ভিড় হয়নি কলকাতা বইমেলায়। গুটি কতক প্রকাশনী সংস্থার স্টলে ভিড় ছাড়া রবিবারের নিরিখে অনেকটা ফাঁকাই ছিল বইমেলা প্রাঙ্গন। ভিড় অনুযায়ী প্রত্যাশা মতো বিক্রি হয়নি। প্রসঙ্গত, সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যবিত্ত বাঙালি যেহেতু মাস মাইনের উপরেই নির্ভরশীল তাই স্টলে স্টলে গিয়ে বই নিয়ে নাড়াচাড়া করলেও কিনছেন না। তাই সামনের বছর থেকে পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড ২৩ ও ২৬শে জানুয়ারিকে সামনে রেখে একেবারে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়া পর্যন্ত কলকাতা বইমেলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতবার ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছিল ৩০শে জানুয়ারি। চলেছিল ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দু’টি শনিবার ও দু’টি রবিবার মিললেও ২৩শে জানুয়ারি ও ২৬শে জানুয়ারির মতো বাড়তি ছুটি মেলেনি ওই বছর। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ২৬ লক্ষ মানুষ হাজির হয়েছিলেন মেলায়। বই বিক্রি হয়েছিল ২৫ কোটি টাকার। এবার ৪৭তম কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছে ১৮ জানুয়ারি। শেষ হচ্ছে আগামীকাল, ৩১শে জানুয়ারি। দু’সপ্তাহের মধ্যে দু’টি শনিবার, দু’টি রবিবার ছাড়াও ২৩শে জানুয়ারি এবং ২৬শে জানুয়ারি মিলিয়ে ছ’টি ছুটির দিন মিলেছে। তাই ভিড় হয়েছে গতবারের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। কিন্তু, সোমবার পর্যন্ত বিক্রি গড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। ভিড় অনুযায়ী আরও বিক্রির প্রত্যাশা করেছিলেন প্রকাশকরা। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।