সামনেই লোকসভা নির্বাচন দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতির আবহ। এর মধ্যেই ফের সূত্রপাত হল নতুন বিতর্কের। এবার ৫০ দিনের জন্য মুক্তি পেলেন গুরমিত সিং রাম রহিম। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ২১ দিনের প্যারোলে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল রাম রহিমকে। ওই বছরেরই জানুয়ারিতে কারাগার থেকে ৪০ দিন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কারাগারের বাইরে এসে তিনি আগের মতোই হাজারো অনুসারী নিয়ে বৈঠক করেছেন এবং আনন্দ-উল্লাস করছেন। প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর আনন্দ-উল্লাসের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। তার রেশ কাটতে না হতেই আবারও জুলাই মাসে তাঁকে ৩০ দিনের প্যারোল পান রাম রহিম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাবের নির্বাচনের সময় ২১ দিন, জুনে ৩০ দিন ও অক্টোবরে ৪০ দিনের জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, হরিয়ানার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাম রহিম প্যারোল পেয়েছিলেন। সে সময় তাঁর বৈঠকে বিজেপির কয়েক রাজনীতিকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এ কারণে বিরোধী দলগুলো রাম রহিমেকে বারবার প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করছে। দুই শিষ্যকে ধর্ষণের অপরাধে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হয় রাম রহিমের। ২০১৭ সাল থেকে তিনি এ মামলায় হরিয়ানার সুনারিয়া কারাগারে বন্দী। এরপর একজন সাংবাদিককে হত্যার দায়ে ২০১৯ সালে যাবজ্জীবন ও ২০০২ সালে এক কর্মচারীকে হত্যার দায়ে ২০২১ সালে আবারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। এহেন সাজাপ্রাপ্ত একজন কেন বারবার প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভোটের আগে রাম রহিমের প্যারোলে মুক্তির পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।