এবার বাংলার বুকেও দেখা গেল দিল্লীর হৃদয়বিদারক শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে স্ত্রীকে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে খালে ফেলল স্বামী! এখনও পর্যন্ত মধ্যমগ্রামের সেই খাল থেকে মুখের কিছুটা অংশ, হাতের টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে গলার নীচ থেকে পেট পর্যন্ত অংশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলার নাম সায়রা বানু। এদিকে, তাঁর স্বামীও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের নজরবন্দি রয়েছেন তিনি। তদন্তে জানা গিয়েছে, নুরউদ্দিন মণ্ডল নামে বছর পঞ্চান্নর ব্যক্তি কিছুদিন আগে মধ্যমগ্রাম থানায় তাঁর স্ত্রী সায়রা বানুর নামে একটি মিসিং ডায়েরি করেন। সেই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের স্বার্থেই বেশ কয়েকবার নুরউদ্দিনকে জেরা করতে থাকেন তদন্তকারীরা। চাপ বুঝতে পারে নুরউদ্দিন। পুলিশ সূত্রে খবর, কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়তে থাকে নুরউদ্দিনের। এরমধ্যেই সোমবার বাড়ি থেকে অন্যত্র গিয়ে বিষ খান নুরউদ্দিন। এক ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে খবর যায় থানায়।
এরপর পুলিশ গিয়ে নুরউদ্দিনকে চিনতে পারে। তাঁকে দ্রুত বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই নুরউদ্দিন পুলিশের কাছে স্বীকার করে, তিনিই স্ত্রীর গলায় চাকু দিয়ে আঘাত করেছেন। তারপর দেহ খালে ফেলেছেন। নুরউদ্দিনের বাড়ির পাশের খালে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তারপর মধ্যমগ্রাম থানার রোহান্ডার খাল থেকে টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ নুরউদ্দিনের মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই খুন। উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের দিল্লীর একটি ঘটনা গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। প্রেমিকার দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ১৮ দিন ধরে দিল্লীতে দেহাংশ ছড়িয়েছিল ওই যুবক। তারপরও অবশ্য পুলিশের জাল থেকে রেহাই পায়নি সে।