সুখবর এল উত্তরবঙ্গবাসীদের জন্য। সম্প্রসারিত হতে চলেছে বাগডোগরা বিমানবন্দর। অনেকদিন ধরেই হওয়ার কথা থাকলেও সেটি থমকে ছিল। ফলত আধুনিকীকরণ করা যাচ্ছিল না। এবার পাহাড়ের পাদদেশে তা হতে চলেছে। যাকে ঘিরে থাকবে তরাইয়ের চা-বাগান এলাকা। সুতরাং সমতলে নেমে পাহাড়ে যাওয়ার একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। আর বিমানবন্দরে নেমেই লেখাটা চোখে পড়বে, ‘ওয়েলকাম টু দ্য হিলস’। বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। টার্মিনাল ভবনের কাজ শুরু করা হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই। এদিকে বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়। তার পরে ৮৮৩.৮০ কোটি টাকা দিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ৯৬০.৪৫ কোটি টাকার টেন্ডারে ৭৬ কোটি টাকা কমে সংস্থাটি এই সম্প্রসারণ কাজের বরাত পায়। তাই কাজ শুরু করেছে। ২০২৪ সালের গোড়াতেই এআইআই–এর তৈরি সম্প্রসারণের নকশা এবং টার্মিনাল ভবনের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। সময়সীমা বেঁধেই কাজ শেষ হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতে আড়াই বছর সময় লাগবে।
পাশাপাশি, বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য পাঁচ বছর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এখন মূল বাগডোগরা বিমানবন্দরের টার্মিনালের আয়তন ৮ হাজার স্কোয়ার মিটার। আর ঘণ্টায় এখানে ৪০০-৫০০ যাত্রী ধরে। দিনের ব্যস্ত সময়ে বিমানবন্দরের ভিতরে যাত্রীদের বসার জায়গা থাকে না বলে অভিযোগ। আবার একজনের সঙ্গে আর একজনের গায়ে ধাক্কা খেয়ে দাঁড়াতে হয় বলে অভিযোগ। নতুন টার্মিনালটি এখন যে টার্মিনাল আছে সেটার ৫০০ মিটার দক্ষিণে তৈরি হচ্ছে। সেখানে ১ লক্ষ বর্গমিটার টার্মিনাল হবে। সুতরাং ঘন্টায় ৩৫০০–৪০০০ যাত্রী এটা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার বর্গমিটারের টার্মিনালের কাজ হবে। তবে এখানে ১০টি এরোব্রিজ তৈরি হচ্ছে। এই কাজটি করার জন্য ১০৪ একর জমি সরকার চা-বাগান থেকে অধিগ্রহণ করে দিয়েছে। এবার সেখানে নতুন টার্মিনাল ও সব পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে বিমানবন্দরের সামনে। ওই অংশে চা-বাগানের আদলে তৈরির কিছুটা পরিকল্পনা রয়েছে। পাহাড়, তরাই, জঙ্গলের কোলাজে বিমানবন্দরের নকশা তৈরি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক এবং সামজিক দিককে সামনে রেখেই বিমানবন্দরের নকশা তৈরি করেছে দেশের নামী একটি সংস্থা।