গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা থেকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ছোঁড়া হয় ৫ হাজার রকেট। এর পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল সরকার। সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের দাবি, ১৬ বছর পর গাজার কর্তৃত্ব হারিয়েছে হামাস। আর ইজরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণে গাজার হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মানুষের লাশ। গাজার আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে গণকবর দেওয়া হয়েছে ১৭৯ জনকে। এদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু।
গাজার ওই বৃহত্তম হাসপাতালের প্রধান মহম্মদ আবু সালমাইয়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, ভয়ংকর মানবিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছি আমারা। বাধ্য হয়েই হাসপাতালে চত্বরে আমরা মৃতদের গণকবর দিতে বাধ্য হয়েছি। হাসপাতালে বিদ্যুত্ চলে যাওয়ার পর ২৯ জন রোগী ও ৭ শিশুর মৃতদেহ আমরা গণকবর দিয়েছি। হাসপাতালে পড়ে রয়েছে বহু মৃতদেহ। ডক্টরস ইউদাউট বর্ডার-এর এক চিকিত্সক সংবাদমাধ্যমে ববেন, অমানবিক পরিস্থিতি। হাসপাতালে বিদ্যুৎ নেই। জল পর্যন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। চারদিকে যখন আহতের ছড়াছড়ি সেইসময় আল শিফা হাসপাতালের গেটে এসে দাঁড়িয়েছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক।
গত সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতাল থেকে বাইরের জগতের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। ইজরায়েলের দাবি, হাসপাতালের সঙ্গে হামাসের টানেলের যোগাযোগ রয়েছে। হাসপাতাল ও রোগীদের মানুষ্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাসপাতালেই রয়েছে হামাসের আড্ডা। রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য, আক্রান্ত গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি অসুস্থ কিংবা আহত মানুষ আটকে রয়েছেন। আল শিফা হাসপাতালেও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। প্রবল গোলাগুলির জন্য তারা বাইরে বের হতে পারছেন না।