গত ৬ মাস ধরে জাতি হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। ইতিমধ্যেই কুকি আর মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঘটেছে গণধর্ষণ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই দাবি করুক না কেন সেখানে শান্তি ফিরেছে, বাস্তব বলছে এখনও অগ্নিগর্ভ মণিপুর।এবার যেমন সেখানের কাংচুপ এলাকা থেকে উদ্ধার হল এক পুরুষ ও এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ। ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীর এক জওয়ানের পরিবারের সদস্যেরা চূড়াচাঁদপুর থেকে লেইমাখংয়ে একটি বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন। কাংচুপ চেকপোস্টে যৌথবাহিনীর সামনে থেকেই তাঁদের গাড়ি থামিয়ে ৫ জনকে নিয়ে যায় মেইতেই বাহিনী। পরে তাঁদের মধ্যে এক প্রৌঢ়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেনা উদ্ধার করলেও আরও দুই পুরুষ ও দুই মহিলার খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ জানায়, এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ পশ্চিম ইম্ফলের লামসাং থেকে উদ্ধার হয়েছে। কুকিরা জানায়, ওই দেহটি জখম প্রৌঢ়ের স্ত্রী নেংকিম হাওকিপের। তাঁদের ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এক পুরুষের দেহ মিলেছে পূর্ব ইম্ফলের ইরিবুংয়ে। কুকিদের মতে, সেটি লামকায় কর্মরত গ্রামরক্ষী জামখোথাং লাংঘালের। দু’টি দেহই অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মর্গে রাখা হয়েছে। কুকি সংগঠনগুলির অভিযোগ, জামখোথাংকে ধরার পরে ইম্ফলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জনতার সামনে দৌড় করিয়ে, সারা দিন ধরে অত্যাচার চালিয়ে তার পরে রাস্তার মধ্যে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তারা আরও জানায়, চান্ডেল জেলার বংজয় গ্রামের প্রধানের বড় ছেলে ডেনিস থংমিনলেনকে চাষের জমিতে যাওয়ার পথে মেইতেইরা কুকি এলাকার মধ্যে ঢুকে অপহরণ করেছে।