সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে জঙ্গলমহলে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। মমতা জমানায় শান্ত জঙ্গলমহলকে নতুন করে উত্তপ্ত করতে চাইছে তারা। প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে মূলত দুই সম্প্রদায়ের মানুষকে আন্দোলনমুখী করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এই দুই সম্প্রদায় হল আদিবাসী ভূমিজরা এবং সদগআপ সমাজ। দুই শিবিরই কালীপুজোর আগে ঝাড়গ্রাম জেলায় তাঁদের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে। যা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শাসক দলের নেতাদের ধারনা, এই কর্মসূচীর আড়ালে আদতে লোকসভা ভোটের আগে কুড়মি আন্দোলনের মতোই নয়া আন্দোলন শুরু করিয়ে জঙ্গলমহলের শান্তি ভঙ্গের ছক কষা হচ্ছে।
আগামী বুধবার ৮ নভেম্বর ঝাড়গ্রামে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ভারতীয় আদিবাসী ভূমিজ সমাজ। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগমের ঝাড়গ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়েও ওই দিন তালা ঝোলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি। আবার পশ্চিমবঙ্গ সদগোপ সমাজের তরফে আগামী ৫ নভেম্বর গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ির একটি অতিথিশালায় তাঁদের জেলা সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সদগোপ সমাজের আন্দোলন সংগঠিত করার দায়িত্বে রয়েছেন অবনী ঘোষ। যিনি বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর থেকেই স্পষ্ট যে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে গেরুয়া শিবিরই।