রাজ্যজুড়ে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানগুলিতে দুর্গাপুজো এবং শুভ ও অশুভের লড়াইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা প্রচার চালাচ্ছেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের জন্য তাঁদের সংগ্রাম অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত চলবে। নেতানেত্রীরা স্পষ্ট বার্তা দেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্র বাংলার বকেয়া টাকা মেটাবে, ততক্ষণ এই দাবিতে বিভিন্ন অঞ্চল এবং ব্লকের রাস্তায় লড়াই চলবে।
নবগ্রামে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা পেশের সময় বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রীয় তহবিলের দাবিতে এবার দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করা উচিত। তিনি বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বৈমাত্রেয় আচরণ ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের হকের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে এবং জমিদারি সংস্কৃতি প্রবর্তন করতে চাইছে। উপরন্তু, আমরা যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি ভবনে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তিনি পালিয়ে যান। আমাদের দাবি আদায়ে আমরা আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সুবিশাল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। সেখানে আমরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা স্থির করব। অধিকার আদায়ের লড়াই কেবলমাত্র বুথস্তরেই শুরু হয়নি, বরং তা গৃহস্থের ঘর থেকেও আরম্ভ হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে INDIA জোট স্বৈরাচারী মোদী সরকারকে গদিচ্যুত করবে।’
বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে সমাজের নানা স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এবং দলের নিচুতলার যে কর্মীরা তাঁদের সাধ্য মতো মানুষের সেবা করেছেন, তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুসারে তাঁরা যে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে লড়াই চালিয়ে যাবেন, আরও একবার সেই প্রতিশ্রুতি দেন দলের নেতানেত্রীরা।