বাবার সঙ্গে দু্র্গাপুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল ছোট্ট হাসি। তারপর হঠাৎই দুর্ঘটনা। ডান পায়ের গোড়ালি সংযোগস্থল থেকে কেটে গিয়েছিল। চামড়া লেগে ছিল, তাই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবেই ঝুলছিল পায়ের পাতা। সেই পায়ের পাতা জুড়ে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাল এসএসকেএম হাসপাতাল। চিকিৎসকরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, আর কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরতে পারবে ওই শিশু। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা হাসি মোল্লা। জয়নগরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল সে। মোটর ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তার পায়ের গোড়ালির নিচ থেকে কেটে যায়। প্রাথমিকভাবে তাকে নিমপীঠ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর হাসপাতালে। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার ফলে তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর রাত ১১ টার সময় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় হাসিকে। ট্রমা ক্রেয়ারে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেই সময় শিশুটির পায়ের পাতা ঝুলছিল। পায়ের পাতা জোড়ার জন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অরিন্দম সরকার জানান, অস্থি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়। শিশুর পায়ের সবরকম পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার পায়ের হাড়, স্নায়ু, টেন্ডন, ধমনী সবই কেটে গিয়েছে। ষষ্ঠীর দিন রাত ২টো থেকে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। অস্থিরোগ চিকিৎসক কিরণ্ময় ঘোষ, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, এবং শুভজিৎ মুখোপাধ্যায় হাড় জুড়েছেন। স্নায়ু, টেন্ডন ও ধমনী জুড়েছেন প্লাস্টিক সার্জন কল্যাণ দাস ও সন্দীপ বসুর তত্ত্বাবধানে সুশোভন সাহা, নেহা আগারওয়াল, দীপস্মিতা শর্মা ও শর্বরী কুণ্ডু। এখন কেটে গিয়েছে বিপদ। সুস্থ রয়েছে হাসি।