দীপাবলীর আবহে প্রতিবছরই সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একাধিক গ্রাম। দু্র্গাপুজোর পরই শুরু হয়ে গিয়েছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের জেলাগুলিতেও ধুমধাম করে হয় শ্যামা-আরাধনা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ২৫২ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। কাঁটাতারের এপাড়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে রয়েছে হাঁড়িপুকুর, তেলিয়াপাড়া, উজাল, গোবিন্দপুরের মতো গ্রাম। যার মধ্যে হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মের মানুষ মিলে হিলি ব্লকের হাঁড়িপুকুর গ্রামের কালীপুজোর আয়োজন করেন। বর্তমানে সেই পুজো ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে দুই সম্প্রদায়ের। সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরাও উৎসবে সামিল হন সবার সঙ্গে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিএসএফ জওয়ানদের কড়া নজরদারিতে রয়েছে সীমান্তের এই এলাকাটি। জওয়ানদের পাহারায় থাকা কাঁটাতারের গেটের পাশেই শান্ত নিরিবিলি এলাকায় রয়েছে জনবসতি। বাংলাদেশের গ্রামের সঙ্গে লাগোয়া ভারতীয় ভূখন্ড হাঁড়িপুকুরে হিন্দু-মুসলিম মিলে ৩০ টি পরিবারের বাস। ওই ভারতীয় পরিবারগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের অবাধ মেলামেশা। সেখানেই কালীপুজোর মণ্ডপের রক্ষণাবেক্ষণ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। এবার বাংলাদেশের মানুষেরাও মা কালীর আরাধনায় শামিল হবেন। দুই দেশের দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই পুজাকে কেন্দ্র করে মিলেমিশে যান। দু’দেশের গ্রামবাসীদের সঙ্গেই এই পুজোয় শামিল হন সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরাও। তবে এই পুজোতে কোনও মূর্তি থাকে না। তবে নিয়ম-নিষ্ঠার ত্রুটিও নেই। শুধু হিন্দুদের পুজোই নয়, ঈদ-মহরম বা মুসলিমদের অন্য উৎসবেও একইভাবে গ্রামের হিন্দু বাসিন্দারা মেতে ওঠেন মহাসমারোহে।