পরিবহণক্ষেত্রে আমজনতার সুবিধার্থে ‘যাত্রী সাথী’ মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর কিছুদিনের তা লাভ করেছে বিপুল জনপ্রিয়তা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অন্তত এক লাখ অতিরিক্ত যাত্রী এবার যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি ভাড়া করেছিলেন। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর মরশুমে যাত্রী সাথী অ্যাপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা একেবারে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ই অক্টোবর যাত্রী সাথী অ্যাপে ৫,৩৯,৫৩৫জন যাত্রী নথিভুক্ত করেছিলেন। ২৬ অক্টোবর সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬,৪০,৭৮৬ জন। অর্থাৎ, ১১দিনে ব্য়বহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১,০১,২৫১জন। কলকাতার রাস্তায় এখন প্রধানত অ্যাপ ক্যাবেরই রাজত্ব। এই যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে একটা সমন্বয় তৈরির চেষ্টা করা হয়। এর মাধ্যমে যাত্রীরা যেমন সহজেই এই অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি বুক করতে পারবেন। চালকও এতে লাভবান হবেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্যাক্সির জন্য হাঁক পাড়তে হবে না যাত্রীদের।
উল্লেখ্য, এই বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে চালকের আয় আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আবার যাত্রীদের কাছ থেকেও অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে না। একেবারে মেপে মেপে টাকা দিচ্ছেন যাত্রীরা। সুবিধা হয়েছে দু পক্ষেরই। কোথাও কোনও কারচুপির ব্যাপার নেই। দেখা যাচ্ছে, ১৬ই অক্টোবর থেকে ২৬ই অক্টোবর পর্যন্ত যত ট্রিপ কমপ্লিট করা হয়েছে তার সংখ্যা হল ৬৯,৫৫৩টি। আর চালকদের আয় প্রায় ২ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডেক্স সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। হিসাব বলছে, অন্তত ৬০ শতাংশ হলুদ ও সাদা নীল ট্যাক্সি সরকারি এই অ্যাপের আওতায় এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী এই অ্যাপের সূচনা করেছিলেন। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে এই অ্যাপ করা হয়েছে। মোটামুটি কলকাতা শহরে হলুদ ট্যাক্সি চলাচল করে ৭০০০ আর সাদা নীল ট্যাক্সি রয়েছে প্রায় ২৫০০টি। সব মিলিয়ে এই ট্যাক্সির সংখ্যা ৯৫০০টি। এই যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সমন্বয় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্যাক্সি চালকরা আগের তুলনায় ভাড়া পাচ্ছেন অনেকটাই বেশি।