প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সংঘর্ষের গুরুতর প্রভাব পড়েছে এ দেশের অর্থনীতিতেও। প্রসঙ্গত, ভারত থেকে অনেক শিল্প পণ্যই বিদেশে রফতানি করা হয়। ঠিক তেমনই একটি পণ্য হল কাচ। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলা কাচ উৎপাদনের জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। এখানে উৎপাদিত কাচের নানা ধরনের সামগ্রী বিদেশে রফতানি করে ভাল রোজগার হয়। সাধারণত বিদেশি বরাত আসে ভারতের এই এলাকায়। সেই অনুযায়ী পণ্য প্রস্তুত করে তা রফতানি করা হয়। বিদেশের বাজারে এই সব পণ্যের কদর খুব বেশি। সেই ব্যবসাই এবার বিপন্ন। ফিরোজাবাদের ব্যবসায়ীরা একদা কোটি কোটি টাকার বরাত পেতেন। সেই কাজ আপাতত বন্ধ। এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে দূর দেশের ওই যুদ্ধের প্রভাবে। বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে কাচ শিল্প বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে।
এবিষয়ে কাচ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী সন্তোষ আগরওয়াল জানান, ফিরোজাবাদে অনেক ধরনের কাচের জিনিস তৈরি হয়। প্রতি বছর উৎসবের মরশুমে সব থেকে বেশি বরাত আসতে শুরু করে। ভারত থেকে তো বটেই। বিদেশ থেকেই বেশি বরাত আসে। কিন্তু এই বছর উৎসব মরশুম শুরুর ঠিক আগে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় প্রভাব পড়ছে। সন্তোষ বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছি এর আগে। এখন সব বন্ধ। এতে কাচ ব্যবসায় কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। এমনকী আগের বরাত অনুযায়ী কাজ করেও তা রফতানি করা যাচ্ছে না।” আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কোটি টাকার বরাত পাওয়া গিয়েছিল। ক্রিসমাসের জন্য ঝুলন্ত ফ্লাওয়ার পট-সহ নানা ধরনের পণ্য বিদেশে পাঠানো হয়। এবার সমস্ত বরাত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।