নয়া পদক্ষেপ নিল দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এবার দীঘা বেড়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে হোয়াটসঅ্যাপেই অভিযোগ জানাতে পারবেন পর্যটকেরা। দীঘার সৈকতে অভিযোগ জানানোর জন্যে বাক্স রাখা হয়েছিল আগেই। এবার ডিজিটাল মাধ্যমকে হাতিয়ার করে পর্যটকদের সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করবে দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ওল্ড এবং নিউ দীঘার সৈকত লাগোয়া এলাকায় অভিযোগ জানানোর জন্যে পর্ষদের পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ডিসপ্লে বোর্ডে দেওয়া থাকবে। সেই নম্বরে পর্যটকেরা বাড়তি হোটেলের ভাড়া, বাড়তি টোটো ভাড়া-সহ যেকোনও ধরনের অভিযোগ জানাতে পারবেন পর্যটকেরা। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই পর্ষদ কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কয়েকমাস আগে পর্যটকদের জন্যে অভিযোগ জানানোর বাক্স বসানো হয় দিঘায়। কিন্তু ওই বাক্সে একটিও অভিযোগপত্র জমা পড়েনি। তাই এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে অভিযোগ গ্রহণে উদ্যোগী পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর তৈরি হয়েছে। তবে যান্ত্রিক কিছু সমস্যার কারণে পুজোর পরেই অভিযোগ জানানোর জন্যে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু হবে দিঘায়। এপ্রসঙ্গে দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, “দীঘাকে সাজিয়ে তোলা ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করাই আমাদের লক্ষ্য। তাই পর্যটকদের থেকে অভিযোগ জানতে দিঘায় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হয়। ওই নম্বর ডিসপ্লে করা থাকবে। অভিযোগ জানানোর বাক্স রাখা হয়েছিল। ওখানে কেউ অভিযোগ জানাননি। তাই ডিজিটাল মাধ্যমকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। ইতিমধ্যে অনেকটা কাজ এগিয়েছে। পুজো মিটলেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করা হবে।” ঘূর্ণিঝড় যশের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দীঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। দীঘাতে প্রায় সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। ২০২২ সালে ৩০-৪০ লক্ষ পর্যটক দীঘায় বেড়াতে এসেছিলেন। ২০২৩ সালে তা আরও কয়েকগুণ বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে উন্নয়ন পর্ষদ, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।