গত ৫ মাস ধরে জাতি হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। ইতিমধ্যেই কুকি আর মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঘটেছে গণধর্ষণ, জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটনাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই দাবি করুক না কেন সেখানে শান্তি ফিরেছে, বাস্তব বলছে এখনও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুরের। এবার যেমন ভুটানের থিম্পুতে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ ফুটবল জয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের জায়গা হল শরণার্থী শিবিরে৷
প্রসঙ্গত, অধিনায়ক গামগৌহৌ মাতের জীবনটা একেবারেই বদলে দিয়েছে মণিপুর হিংসা। এই সংঘর্ষ মাথা গোঁজার ঠাঁইটাও কেড়ে নিয়েছে। মাতের পৈতৃক বাড়ি মণিপুরের টেংনাওপাল জেলায়। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে থাকত ইম্ফলের খোংসাই ভেং এলাকায়। কুকি সম্প্রদায়েক ছেলে মাতে। টুর্নামেন্ট খেলতে রওনা হওয়ার সময়ে সচ্ছল পরিবার হাসিমুখে বিদায় দিয়েছিল তাকে। আর চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরে সে দেখল, চার দিদি, ভাই ও বোনকে নিয়ে বাবা-মা কোনও মতে কাংপোকপি জেলার শরণার্থী শিবিরে মাথা গুঁজেছেন।
গত ৩ মে রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর পরে অন্য কুকি পরিবারের মতো মাতে পরিবারের বাড়িতেও হামলা হয়েছিল। সেই পুরনো ঠিকানায় আর ফেরা হয়নি মাতের। গর্বিত বাবা-মা কাংপোকপির শরণার্থী শিবিরেই স্বাগত জানিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন ছেলেকে। বিধ্বস্ত অধিনায়কের কথায়, “দেশকে জিতিয়ে ফিরে দেখি, আমার রাজ্য আজ মানবিক ও সামাজিক পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবে গিয়েছে। যে করে হোক, রাজ্যে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক। আমাদের জাতীয় দলের বন্ধন যেন রাজ্যের মানুষকে সম্প্রীতি ফেরাতে
অনুপ্রাণিত করে।”