গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডু। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একাধিক জনমে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তনীকে। তবে সেই ‘সৌরভের কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে’ বলে সম্প্রতি হুমকি চিঠি গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারের কাছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখে সেই চিঠি যিনি পাঠিয়েছিলেন তিনি কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাণা রায়। তাঁর পরিচয় বের করতে গিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে পুলিশের হাতে। জানা যায়, একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই ব্যক্তির নামে। তাঁকে দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে ভুবনেশ্বর থেকে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, টালা থানায় অধ্যাপকের নামে একাধিক অভিযোগ আছে। এর আগেও অনেককে হুমকি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগও দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া ওই চিঠির ঠিকানা দেখে ওই ব্যক্তির খোঁজ করতে গেলে পুলিশ জানতে পারে তিনি ভুবনেশ্বরে রয়েছেন। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাঁর আবাসনের খোঁজও পায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে সেই ফ্ল্যাট। ওই আবাসনের আবাসিকরা অভিযোগ করছেন, শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকেই নয়, আবাসনের একাধিক বাসিন্দাকেও পাঠানো হয়েছে ওই ধরনের চিঠি। সেখানে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও লেখা ছিল বলে দাবি। শুধু তাই নয়। যে সমস্ত চিঠি তিনি পাঠাতেন, তার সঙ্গে কখনও কখনও পাঠিয়ে দিতেন গর্ভনিরোধক জিনিসপত্রও। এমনটাই অভিযোগ আবাসিকদের।