লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর সময় একটি কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করার অভিযোগ উঠেছিল ইডির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সাফাই দিতে গিয়ে তারা জানিয়েছে, এক তদন্তকারী অফিসার তাঁর ব্যক্তিগত কারণে সেগুলি ডাউনলোড করেছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই ১৬টি ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। এবার বিতর্কিত ওই ১৬টি ফাইল তলব করল হাই কোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, আজ শনিবার ওই ফাইলগুলি আদালতে হাজির করতে হবে। ওই ১৬টি ফাইলের মধ্যে কী রয়েছে, তা দেখতে চান বিচারপতি।
ইডি জানিয়েছে, এই দুর্নীতির তদন্ত আদালতের নজরদারিতে চলছে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিপোর্ট পেশ করতে হয়। সেই রিপোর্টেই আমরা সাইবার থানায় এই জেনারেল ডায়েরির কথা আমরা জানিয়েছি। তবে ওই ১৬টি ফাইল ডাউনলোডের প্রসঙ্গ টেনে তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ইডি কি ওখানে পিকনিক করতে গিয়েছিল? না কি ওটা ওঁর বন্ধুর বাড়ি?’ কার অনুমতি নিয়ে কমপিউটার ব্যবহার করছিল ইডি, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
ইডি জানায়, তদন্তকারী আধিকারিকের মেয়ের ফোন আসছিল হস্টেলের জন্য, সেই কারণের তিনি কোন হোস্টেল বেছে নেবেন তা নির্ধারণের জন্য ওই কমপিউটার তিনি ব্যবহার করেছিলেন। সম্ভবত সেখানকার আধিকারিকদের অনুমতি নিয়েই করেছিলেন। যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ওই অফিসার উদ্বিগ্ন ছিলেন। একজন উদ্বিগ্ন বাবাকে সাহায্য করাই শ্রেয় ছিল। ওই কম্পিউটার ইডির তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘আমি ওই ১৬টা ফাইল দেখব, তাহলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’