২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান ২। যার অরবিটরটি সফলভাবে চন্দ্রকক্ষে প্রবেশ করলেও অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে ভেঙে পড়ে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ৬১৫ কোটি টাকা খরচ করে ফের নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে চন্দ্রযান ৩। আজ, শুক্রবার শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু তার। জানা গিয়েছে, ১৪ জুলাই উৎক্ষেপণের পরে চাঁদের মাটিতে পৌঁছতে চন্দ্রযান ৩-এর বেশ অনেকটা সময় লাগবে। ২৩ আগস্ট চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩। সেখানে পৌঁছে চাঁদের হিসাবে একদিন কাজ করবে এই চন্দ্রযান, যা পৃথিবীর হিসাবে প্রায় ১৪ দিনের সমান। এই সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে দেখবে চন্দ্রযানের রোভার। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগের বার চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে গেলেও সেখানে অবতরণের সময়ে ভেঙে পড়েছিল চন্দ্রযান। তবে এবার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে সেরকম বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই।
৬৪০টন ওজনের এই চন্দ্রযান ৩ তৈরি করতে মোট ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ৪৩.৫ মিটার উঁচু ও ৪ মিটার চওড়া চন্দ্রযানে থাকবে তিনটি মডিউল- প্রোপালশান, ল্যান্ডার ও রোভার। প্রোপালশান মডিউল মূলত একটি রকেট যা চন্দ্রযান ৩-কে উৎক্ষেপন করতে সাহায্য করবে। ল্যান্ডারের কাজ হল চাঁদের কক্ষপথ থেকে রোভারকে চন্দ্রপৃষ্ঠে নামিয়ে আনা। রোভার একটি ছয় চাকা যুক্ত রোবটযান যেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে হেঁটে বেড়াবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠাবে। পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করে মোট ছ’টি ধাপে চাঁদে পৌঁছে যাবে এই চন্দ্রযান ৩। শ্রীহরিকোটার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথেই ঘুরপাক খাবে চন্দ্রযান। সেখান থেকে ধাপে ধাপে প্রবেশ করবে চাঁদের কক্ষপথে। সেখানে পৌঁছেই প্রোপালশন মডেল থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার। তারপর বিছিন্ন হয়ে যাওয়া ল্যান্ডার থেকেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু এলাকায় নেমে পড়বে রোভার।