গত বছরের ১১ অগস্ট সকালে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার কিছু সময় পরেই গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার হন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রত-হীন বীরভূমেও বজায় রইল তৃণমূল ম্যাজিক! বীরভূম জেলা পরিষদের ৫২টি আসনের মধ্যে ৫১টিতেই ফুটেছে ঘাসফুল। সবুজ ঝড় উঠেছে প্রায় গোটা বীরভূমেই। তৃণমূলের এই জয়ের খবর তিহাড়ে বসেই শুনলেন কেষ্ট মণ্ডল। সূত্রের খবর, নিজের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ায় বেজায় খুশি বীরভূমের নেতা!
বীরভূমের দায়িত্ব এখনও খাতায়-কলমে তাঁর হাতেই রয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জেলার দেখভাল করেছেন। অনুব্রত যে তাঁর খুব ‘কাছের’ তা বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই অনুব্রত হীন বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে বারবার যে প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে আসছিল তা হল, কেষ্ট-হীন বীরভূম কি এবার বিরোধীদের দখলে যাবে? যতই এই প্রশ্ন উঠুক না কেন, অনুব্রত দাবি করেছিলেন, ‘তৃণমূল জিতবে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপর ভরসা রাখবে।’ হলও তাই। সেই জয়ের খবর তিহাড়ে পৌঁছে গেছে। অনুব্রতর আইনজীবীর দাবি, বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ওয়াকিবহাল তাঁর মক্কেল। তিনি অত্যন্ত খুশি।