বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রচারে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। আসা যাক হাওড়ার কথায়। বিরোধী শূন্য হাওড়ায় জেলা পরিষদ দখলের জন্য নয়, নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরতে ও জেলা পরিষদে খাতা খোলার চেষ্টাতেই মাঠে নামছে বিরোধীরা। গঙ্গার পশ্চিম পাড়ের এই জেলা কার্যত তৃণমূলের মজবুত ঘাঁটি। প্রবল মোদী-ঝড়ও সেখানে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি ঊনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভা ভোটে। জেলার ২টি লোকসভা কেন্দ্রই যেমন ২০১৯ সালের ভোটে তৃণমূলের দখলে গিয়েছে তেমনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রও তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। এমনকী একুশের ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে হাওড়া শহরের প্রাক্তন মেয়র রথীন রায় কিছুই করে দেখাতে পারেননি পদ্মশিবির। উল্টে একুশের ভোট মিটতেই তৃণমূলে ঘর-ওয়াপসি ঘটেছে রাজীবের।
প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাওড়ায় প্রথম থেকেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। বিরোধীদের সেই অর্থে জেলার কোনও ব্লকেই দেখা যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও শুধুমাত্র নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরতে বাম-বিজেপি ও কংগ্রেস জোট গড়ে লড়াই করছে। জেলার ১৪টি ব্লকের প্রতিটি থেকে ৩টি করে আসন রয়েছে জেলা পরিষদে। ৪২ আসন বিশিষ্ট হাওড়া জেলা পরিষদ গতবার ছিল বিরোধীশূন্য। এবারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে, যদি না সেখানে খাতা খুলতে পারে বিরোধীরা। এবারের বিরোধীদের লড়াই জেলা পরিষদে খাতা খোলার জন্য, পঞ্চায়েত সমিতিতে বিরোধী আসন অর্জনের জন্য আর গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করার জন্য। অন্যদিকে জেলা পরিষদ ও জেলার সব পঞ্চায়েত সমিতিও যে বরাবরের মতো তাদের দখলেই থাকবে, সে বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত ঘাসফুল শিবির।