নতুন সংসদ ভবন উদ্ধোধনের দিনই দেখা গিয়েছিল সেখানে অখণ্ড ভারতের একটি মানচিত্র মুর্যালে তুলে ধরা হয়েছে। আর তা নিয়েই তোলপাড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। মোদী সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলেও ভোটমুখী বাংলাদেশে ওই মানচিত্র রীতিমতো নির্বাচনী ইস্যু হয়ে গিয়েছে। বেকায়দায় পড়েছে শাসক দল আওয়ামী লিগ ও সরকার।
প্রসঙ্গত, নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রচারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সে দেশের বহু মানুষ অভিযোগ করেন, এই মানচিত্রের অর্থ ভারত বাংলাদেশের পৃথক অস্তিত্ব স্বীকার করে না। পাকিস্তানেও কেউ কেউ সরব হন। আর মাস ছয়েক পরই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগে মার্কিন ভিসা নীতি, মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিংয়ের সমস্যায় জেরবার হাসিনা সরকার। শুরু হয়েছে ডলার সংকট। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে গত সোমবার দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাস ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছিল।
সূত্রের খবর, কালক্ষেপ না করে নয়া দিল্লি ঢাকার প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। তারা বলেছে, এই মানচিত্র সম্রাট অশোকের সময়ের ভারত ভূখণ্ড, যার শরিক উপমহাদেশের সব দেশই। নয়া সংসদ ভবনে সেটি রাখা হয়েছে গণমুখী প্রশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরতে যা অশোকের সময়ে অনুসরণ করা হত। প্রশাসনের সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই এটা স্থাপন করা হয়েছে। এর সঙ্গে কোনও দেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করার কোনও বাসনা নেই। তবে সেই ব্যাখ্যার পরও ভারত বিরোধী প্রচারে ভাটা পড়েনি। অখণ্ড ভারতের মানচিত্রের সঙ্গেই আলোচনায় টেনে আনা হচ্ছে বাংলাদেশের সড়ক, নদী, বন্দর ইত্যাদি ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে।