গত শুক্রবার উড়িষ্যার বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০০ যাত্রীর। পাশাপাশি আহতের সংখ্যাও হাজার ছাড়িয়েছে। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এখনও শোকের আবহ চারিদিকে। এরই মধ্যে রেলে এবার কেউটে আতঙ্ক। আর তার জেরে কামরার ভিতরে চলল যাত্রীদের দৌড়-ঝাঁপ। ভয়ে সারারাত জেগে থাকতে হল তাঁদের। অবশেষে শিয়ালদহ পৌঁছে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ জলপাইগুড়ি ছেড়ে আসা হাওড়ামুখী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের এস ওয়ান কামরার ১ নম্বর আসনের তলায় কেউটে সাপ দেখতে পান এক যাত্রী। আর তারপর তিনি চিৎকার শুরু করতেই নিমেষে ফাঁকা হয়ে যায় ওই কামরা। অন্য কামরাতে চলে যান যাত্রীরা। ততক্ষণে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ট্রেনে কেউটে আতঙ্কের খবর পৌঁছে যায় আলুয়াবাড়ি রোডের আরপিএফের কাছে। নির্দেশ মতো আরপিএফ ইসলামপুরে সাপ ধরতে অভ্যস্ত নবনীতা উপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন। তিনি আলুয়াবাড়ি স্টেশনে হাজির হন সাপ ধরার যন্ত্র নিয়ে।
তবে তিনটি কামরা ফাঁকা করে একঘণ্টার বেশি সময় ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও সাপের সন্ধান পাননি নবনীতা। এরপর তাঁর অভয়বাণী পেয়ে ট্রেনটি গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছিল। তবে সর্প আতঙ্কের মধ্যেই সারাটা রাত কাটে যাত্রীদের। তাঁদের কথায়, ‘রাতে ঘুমোতে পারিনি। আতঙ্কে সবাই লাগেজ তুলে দেয় বাঙ্কে। ফলে বাঙ্কের যাত্রীদের নেমে আসতে হয় নিচের সিটে।’ কোথায় লুকিয়ে রয়েছে সাপ, এই ভয়েই রাত জাগতে হয়েছে তাঁদের। তবে ট্রেনে সাপ ওঠার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে কালকা মেলের বার্থের উপরেও সাপ দেখা গিয়েছিল।