তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকছে দেশ। তৈরি হয়েছে মন্দা পরিস্থিতি। জ্বালানি কিনতে না পাড়ায় টান পড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও। তাই বাধ্য হয়েই বিদ্যুৎ বাঁচাতে নয়া ফরমান জারি করেছে পাকিস্তান সরকার। ঘোষণা করা হয়েছে, দেশের সব বাজার বন্ধ করতে হবে রাত আটটার মধ্যে। এমনটাই জানিয়েছেন দেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেছে পাক ব্যবসায়ী সমিতিগুলি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিদেশি মূদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে ঠেকেছে। জ্বালানি কিনতে গেলে যে বিদেশি মূদ্রা খরচ করতে হবে তা খরচ করতে চাইছে না পাক সরকার। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও প্রবল ধাক্কা খেয়েছে। এই প্রবল গরমে দেশের বহু এলাকায় পালাপালা করে বিদ্যুত সরবারহ করা হচ্ছে। মানুষের জীবন অতিষ্ঠ। তাই বিদ্যুত্ বাঁচাতে শেষপর্যন্ত ওই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। আহসান ইকবাল পাক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিচার করে বিদ্যুৎ বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত আটটার মধ্যে দেশের সব দোকান, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে এলইডি লাইট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বছরে ১০০ কোটি ডলার বাঁচবে।
এদিকে, সরকারের ওই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেছে দেশের ব্যবসায়ী সমিতিগুলি। গত জানুয়ারি মাসে এরকমই এক ঘোষণা করেছিল সরকার। সেইসময় দোকানবাজার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সন্ধে সাড়ে আটটা থেকে। বিয়েবাড়ি করার অনুমতি ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত। অল পাকিস্তান আঞ্জুমান ই তাজিরান-এর প্রেসিডেন্ট আজমল বালোচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার আগেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। আমরা রাত আটটর মধ্যে ব্যবসা বন্ধ করব না। এই প্রবল গরমে মানুষজন দিনের বেলা বের হতে চান না। ব্যবসার ক্ষেত্রে আদর্শ সময় হল সন্ধে আটটা থেকে রাত এগারোটা। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিকে ডোবাবে।