মণিপুরে অশান্তির উত্তাপ পৌঁছে গেল দিল্লি। বুধবার সকালে কুকি জনগোষ্ঠীর লোকেরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
শাহ জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাঁর বাংলো সর্বদা কমান্ডো বেষ্টিত থাকে। তারপরও বিক্ষোভকারীরা বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে চারজনকে শাহের বাংলোর ভিতরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। বাকিদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় যন্তরমন্তরে।
বুধবার সকালেই গোটা দেশ জেনেছে গত রবিবার মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের পশ্চিমপ্রান্তে কীভাবে গুলিবিদ্ধ সাত বছরের এক শিশুসহ তিনজনকে অ্যাম্বুলেন্সে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে মেইতেই জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে দু’জন মেইতেই হলেও তাঁরা খ্রিস্টান। সেই কারণে মেইতেইদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। ঘটনাটি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটেছে এবং অদূরে অসম রাইফেল্সের ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও হামলা ও মৃত্যু আটকানো যায়নি। স্বভাবতই কুকিরা এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। আবার গত শনি ও রবিবার কুকিদের আক্রমণে প্রাণ যায় মেইতেই সম্প্রদায়ের পাঁচ ব্যক্তির।
৩ মে থেকে শুরু হওয়া হিংসার কোনও বিরাম নেই পাহাড়ি রাজ্যটিতে। অথচ, এই মুহূর্তে কাশ্মীরের পর মণিপুরেই সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন আছে। এছাড়া অসম রাইফেলস, সিআরপিএফ, সিআইএসএফের বিপুল সংখ্যায় জওয়ান টহল দিচ্ছে রাজ্যে। তারপরও একের পর এক হামলার ঘটনায় পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে।