বেশ কয়েক বছর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্তা-সহ নানা মহল থেকেই ডব্লুবিসিএস মেনসে বাংলা ভাষায় একটি বাধ্যতামূলক পেপার রাখার দাবি উঠছিল। অবশেষে কদিন আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস বা ডব্লুবিসিএসে চাকরি করতে গেলে বাংলা ভাষার লিখিত পরীক্ষায় পাস করতেই হবে। তবে এর বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই আদা-জল খেয়ে নেমে পড়লেন বাংলারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নেমে সর্বাত্মক গণআন্দোলনের পাশাপাশি আদালতে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। বিধানসভার ভিতরেও এনিয়ে সরব হওয়ার কথা জানিয়েছেন। শুভেন্দুর এই অবস্থানকে ‘উসকানিমূলক’ও বাংলায় ভাষাবিদ্বেষের বিষ ছড়ানোর অপচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে তৃণমূল।
বাংলার শাসক দলের বক্তব্য, একদিকে বাংলার জন্য কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন দিয়ে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে উসকানি দিয়ে চলেছেন বাংলা ভাষার প্রসারের বিরুদ্ধে। এই দ্বিচারিতাই বিরোধী দলনেতার আসল রূপ! দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিতে গেলে সেই রাজ্যের ভাষা জানা বাধ্যতামূলক। ওই রাজ্যগুলিতে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করতে হলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভাষা নিয়ে একটি পেপারে পরীক্ষায় বসাটা আবশ্যিক শর্ত। কিন্তু বাংলায় এতদিন তেমন শর্ত ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে এনিয়ে সরব ছিল বিভিন্ন মহল। তাদের বক্তব্য ছিল দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মতো বাংলাতেও প্রশাসনিক গুরুদায়িত্ব পালন করতে হলে বাংলা ভাষায় কথা বলা, বোঝা, বাংলা পড়তে জানা ও লিখতে পারা আবশ্যিক শর্ত হওয়া উচিত।