করমণ্ডল এক্সপ্রেস-দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে আজ উড়িষ্যার পর মেদিনীপুরেও পৌঁছে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহতরা। দুর্ঘটনার পরদিন থেকে এখানে তাঁদের ভর্তি করা হয়। সেই থেকে দিনরাত নাওয়া-খাওয়া ভুলে তাঁদের সুস্থ করার কাজ করে চলেছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের এই সেবাধর্মে অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আহতদের দেখতে এসে জেলা প্রশাসনের প্রশংসার পাশাপাশি হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়ানোর ঘোষণা করেন মমতা। এদিন কটক থেকে সরাসরি মেদিনীপুর পৌঁছন তিনি। কটক হাসপাতালে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাংলার যাত্রীদের দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেও আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই হাসপাতালে মোট ৬১ জনের চিকিৎসা চলছে। তার মধ্যে ১৬ জন বিহারের। রাজ্যের আহত যাত্রীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা কেমন আছেন, কোথায় বাড়ি, সব জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দেন, সুস্থ হয়ে উঠলে এখান থেকে যার যার নিজস্ব জেলায় পাঠিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। এরপর হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”টানা চারদিন ধরে এখানকার নার্স, ডাক্তাররা দারুণভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি খেয়াল রেখেছি। আমি খুব খুশি যে এমন বিপদের সময়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এই হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হচ্ছে। আজ থেকে ১০০ বেডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট চালু হচ্ছে। এছাড়া ক্যানসার ইউনিটও চালু করছি।” জেলা হাসপাতালগুলির মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো বর্তমানে অনেকটাই উন্নত। ভিনরাজ্যের প্রচুর মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেসব কথা মাথায় রেখেই পরিকাঠামো বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।