বৃহস্পতিবার বিকেলেই বাংলার নানান জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে কালবৈশাখীর ঝড়। গাছ ভেঙে পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল বাঁকুড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়কের খাতড়া থেকে রানিবাঁধ রাস্তা। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যানচলাচল। এবার রাস্তা থেকে গাছ সরাতে পুলিশ প্রশাসনের কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগালেন খোদ রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। রীতিমতো কোমর বেঁধে গাছ সরানোর কাজ করলেন তিনি। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের চেষ্টায় রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়। খাতড়া-রানিবাঁধ রাস্তায় স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। এদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে খাতড়া-রানিবাঁধ রাজ্য সড়কে খাতড়া পাম্প মোড় থেকে আকখুটা পর্যন্ত রাস্তায় একাধিক গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। সন্ধেয় খাতড়ায় একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। রাস্তা অবরুদ্ধ দেখে তড়িঘড়ি তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিজেও রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ, গাছের ডাল সরাতে হাত লাগান মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গাছ সরানোর কাজে মন্ত্রীর হাত লাগানোর কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রাস্তা থেকে দ্রুত গাছগুলি সরিয়ে দেন। মন্ত্রীর কাজে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি অবশ্য বলেন, “কালবৈশাখীতে গাছগুলি রাস্তার উপরে পড়েছিল। ওই রাস্তায় যাতায়াতের সময় তা নজরে পড়ে। এরপর সেগুলি সরানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। যান চলাচলের অসুবিধা দূর করার জন্য এই কাজ করেছি। এটা এমন কিছু নয়।” অন্যদিকে, কালবৈশাখীর ঝড়ে খাতড়া, রানিবাঁধ, হিড়বাঁধ ব্লকে গাছ পড়ার পাশাপাশি কিছু বাড়ির খড়ের ও টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক বাড়ির মালিকরা। হিড়বাঁধের তিরশুলিয়া গ্রামে ১০টি বাড়ির খড়ের ছাউনি ও টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত প্রধান নয়ন প্রামাণিক রাতে ওই গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের জন্য ব্লক প্রশাসনকে জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত প্রধান নয়ন প্রামাণিক। “ঝড়ে কিছু বাড়ির ছাউনি উড়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্লকস্তর থেকে পাওয়ার পরেই বলা যাবে। ব্লক থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন”, জানান খাতড়ার মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়।