কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটের আগে আমূলের বিজ্ঞাপন ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কংগ্রেস এবং জেডিএসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, কর্ণাটকের সরকারি দুগ্ধ সংস্থা ‘কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশন’ (কেএমএফ)-এর ব্র্যান্ড ‘নন্দিনী’কে কোণঠাসা করে মোদী-শাহের রাজ্যের আমূলকে ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার ছক কষছে বিজেপি। পড়শি রাজ্য ছাড়িয়ে এবার আমূল-বিতর্ক তামিলনাড়ুতেও। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তামিলনাড়ু-সহ দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলি থেকে আমূল যাতে দুধ সংগ্রহ করতে না পারে, অবিলম্বে সে বিষয়ে নির্দেশ জারি করুন।’
মোদী-শাহের রাজ্যের বিজেপি নিয়ন্ত্রিত আমূল সমবায় গোষ্ঠী তামিলনাড়ুর বিভিন্ন এলাকায় দুধ সংগ্রহ শুরু করার পরে স্থানীয় দুধ উৎপাদক, দুগ্ধজাত সামগ্রী নির্মাতা এবং সমবায় সংস্থাগুলি অসুবিধার মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ স্ট্যালিনের। ডিএমকে প্রধান বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক দুগ্ধ সংগ্রহের নীতি লঙ্ঘন করে আমূল অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার আবহ তৈরি করেছে।’ কেন্দ্রের দেওয়া ‘মাল্টি-স্টেট কো-অপারেটিভ লাইসেন্স’-এর সুবিধা নিয়ে গুজরাতের সংস্থা আমূল কৃষ্ণগিরি জেলায় ‘চিলিং সেন্টার’ এবং একটি ‘দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র’ বানিয়ে ফেলেছে বলেও জানিয়েছেন স্ট্যালিন। তাঁর কথায়, ‘আমাদের সর্বোচ্চ সমবায় বিপণন সংস্থার নাম ‘আভিন’। তার আওতায়, গ্রামীণ এলাকায় ৯,৬৭৩টি দুধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি কাজ করছে। আমূলের কার্যকলাপে তাদের অসুবিধা হচ্ছে।’