মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, বারাণসীর মতো কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যারতির আয়োজন করতে। ঘাটে শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। মাসখানেক ধরে তা দেখতে বহু দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন গঙ্গার ঘাটে। কোনও টিকিটের বিনিময়ে নয়, একেবারে বিনামূল্যেই এই আরতি দর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন সবাই। আর এবার গঙ্গা আরতি দেখার পাশাপাশি সবার জন্য ভোগের ব্যবস্থাও করতে চলেছে পুরসভা। সপ্তাহে একদিন, শনিবার আরতির পর ভোগ দেওয়া হবে। আরতির পাশাপাশি এই ভোগের আয়োজনেও রয়েছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আরতি দর্শনের পর খিচুড়ি ও লাবড়া ভোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। গঙ্গা আরতি দেখার পর এই বিশেষ খিচুড়ি ভোগ বাড়তি পাওনা বলেই মনে করছেন দর্শনার্থীরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সন্ধেবেলা প্রায় হাজারের উপর দর্শনার্থী আসেন বাজে কদমতলা ঘাটে শুধুমাত্র এই গঙ্গা আরতি দেখার জন্য। শনিবার, সপ্তাহের শেষদিনে এই ভিড় আরও খানিকটা বেশিই থাকে। তাই সেই দিনগুলিতেই ভোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সেই ভোগের আয়োজনও বিশাল। প্রায় ১০০ কেজি চাল, ৫০ কেজি ডাল, ৩ থেকে ৫ কেজি ঘি, কাজু, কিসমিস ও বিভিন্ন সবজি ও মশলা দিয়ে তৈরি হচ্ছে খিচুড়ি ভোগ।