লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে গেলে তাদের একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী দাঁড় করাতে হবে। কোনওভাবেই যেন বিরোধী ভোট ভাগ না হয়, সেই লক্ষ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ওয়ান টু ওয়ান ফাইট’ তত্ত্ব তুলে ধরেছেন। ইদানিংকালে প্রায় প্রতি সভাতেই এই ফর্মুলার কথা বলছেন তিনি। একই সঙ্গে লক্ষ্যণীয় জোট রাজনীতিতে দাদাগিরির মনোভাব থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছে কংগ্রেস। এমন আবহেই এবার মমতার তত্ত্বকেই তুলে ধরে তাতে সায় দিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা।
তিনি জানালেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে একের বিরুদ্ধে একের লড়াই চাই। বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করতে গেলে যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তাকে বিরক্ত না করে সমর্থন জানাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্তিশালী হন, তাঁকে সমর্থন জানাতে হবে। একইভাবে উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ, বিহারে নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদের দলের পাশে থাকা উচিত।’
চব্বিশের মহারণে একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ের পক্ষে বারবার সওয়াল করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে আবদুল্লা জানান, ‘আপনি যদি বিজেপিতে হারাতে চান, তাহলে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর ফর্মুলা মানতেই হবে। যেখানে কংগ্রেস জিততে পারে সেখানে অন্য কারও দাঁড়ানো ঠিক নয়। অন্য বিরোধী দলের জেতার সম্ভাবনা থাকলে তাকে আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমার প্রত্যাশা, বিরোধী দলগুলিও এই বিষয়টি নিয়ে ভাববে।’ রবিবার উপত্যকায় এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার নিয়েও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা হোক বা লোকসভা নির্বাচন—গেরুয়া শিবিরের হাতিয়ার ইডি, সিবিআই. আয়কর দফতরের হানা। বিরোধীদের শায়েস্তা করতে অহরহ দিল্লি থেকে পাঠানো হচ্ছে আধিকারিকদের। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ফারুক বলেন, ‘আগেও কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করা হয়েছে। তবে এবারে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে একশো গুণ বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। বিরোধী জোট সরকার গড়লে এই রীতি বন্ধ করা হবে। বিরোধীদের পিছনে সিবিআই, ইডি লেলিয়ে দেওয়া গণতান্ত্রিক দেশে সম্পূর্ণ ভুল পদক্ষেপ।’