কিছুদিন আগেই দিল্লীতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী হলেন তৃণমূলের জন্য লক্ষ্ণী। যেদিন থেকে বিজেপিতে গিয়েছে, তার পর থেকেই তৃণমূলের ভাল হচ্ছে! একুশের ভোটের ফলাফলই দেখুন। সোমবারের জনসভা থেকেও সেই একই কথা বললেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘শুভেন্দু আমাদের জন্য লক্ষ্ণী। বিজেপিতে আগে রাহু গ্রাস লেগেই ছিল। শুভেন্দু যাওয়ার পর এখন কেতুর দশাও লেগেছে।’
পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দুর দলত্যাগে তৃণমূলের যে কোনও ক্ষতি হয়নি, অভিষেক শুধু সেটাই ইঙ্গিত করতে চাননি। শুভেন্দু বা তাঁর মতো যাঁরা অন্যদল থেকে বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদের নিয়ে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের পুরনো লোকেদের মধ্যে যে অসন্তোষ রয়েছে, সেই দ্বন্দ্বটাও উস্কে দিতে চেয়েছেন। যেমন, শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন রাজভবনের ওপর বা দিল্লীর ওপর নির্ভরশীলতা যখন বারে বারে প্রকাশ পেয়েছে, তখন দিলীপ ঘোষ বলতে চেয়েছেন, কেউ আমাদের খাইয়ে দেবে না। নিজেদের লড়াই করে খেতে হবে।
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপের সঙ্গে এ ব্যাপারে সহমত সায়ন্তন বসুর মতো নেতারাও। শুধু তাই নয়, গত কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু একটা টি-শার্ট পরে ঘুরছেন। তাতে লেখা ‘নো ভোট টু মমতা’। কিন্তু মমতাকে ভোট নয় বলতে শুধু বিজেপির প্রতি ভোটের আবেদন বোঝায় না। তাতে বোঝায় মমতা ছাড়া আর যাকে ইচ্ছা ভোট দিন। শুভেন্দুর এই কথাতেও আপত্তি রয়েছে দিলীপদের। প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতির কথায়, এটা আমাদের পার্টি লাইন নয়।