পায়ে পায়ে অতিক্রান্ত ১০০। ২০১৪ সালে থেকে যে পথ চলা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার তা ১০০তম পর্বে পা রাখল ও তা অতিক্রান্তও করল। কেননা এদিনই দেশজুড়ে তো বটেই, বিদেশের মাটিতেও শোনা গিয়েছে ‘মন কি বাত’। এদিনই ছিল এই অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব। ভারতের মাটিতে প্রায় সব রেডিও স্টেশন ও টিভি চ্যানেলে সেই অনুষ্ঠান তো একযোগে সম্প্রচারিত হয়েইছে, সেই সঙ্গে তা রাষ্ট্রসঙ্ঘেও দেখানো হয়েছে।
কিন্তু এই সব সাফল্যের মাঝে গেরুয়া শিবিরকে বড়সড় অস্বস্তির মুখে ফেলে দিয়েছে এক সমীক্ষা। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে গত ৯ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রতি মাসের শেষ রবিবার নিয়ম করে ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান করলেও তা আজ অবধি শোনেননি, দেখেননি দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ।
জানা গিয়েছে, সিএসডিএস নামের একটি সংস্থা সমীক্ষা চালিয়েছিল গোটা দেশে। সেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দেশের প্রায় ৯০ কোটি মানুষ বা দেশের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ মানুষ কোনওদিন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান না শুনেছেন না দেখেছেন। দেশের মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ এই অনুষ্ঠান মাঝেমধ্যে শুনেছেন বা দেখেছেন। যেহেতু এই অনুষ্ঠান হিন্দিতে হয় তাই দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে এই অনুষ্ঠান শোনার বা দেখার কোনও আগ্রহই নেই। এমনকি বিজেপি শাসিত কর্ণাটকেও ছবিটা একই। আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য হল হিন্দি বলয়ের মধ্যে থাকা উত্তর ও মধ্য ভারতেরও ৬২ শতাংশ মানুষ কোনওদিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান না শুনেছেন না দেখেছেন।
শুধু এটাই নয় বিজেপির তথাকথিত ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যগুলিতেও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মানুষ শোনেন না বা দেখেন না প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কী বাত’। তাই বিজেপি এদিন ১০০তম ‘মন কি বাত’ নিয়ে যতই লম্ফঝম্ফ করুক না কেন, বাস্তব কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে দ্রুত পায়ের নীচে মাটি হারাচ্ছেন মোদওঁ। দেশের মানুষ আর আগ্রহী নয় তাঁর ‘মন কী বাত’ শুনতে। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাও কার্যত তলানিতে ঠেকেছে।