বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এল সুসংবাদ। এবার রাজ্যে নতুন করে স্টাফ সিলেকশন কমিশন গঠন হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই তার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে নবান্ন। আর সেই স্টাফ সিলেকশন কমিশনের গঠন হওয়ার পরেই রাজ্য জুড়ে কয়েক হাজার গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছে নবান্ন সূত্র। ১৭ই এপ্রিল রাজ্যের সরকারি অফিসগুলিতে কর্মী নিয়োগের জন্য নতুন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টাফ সিলেকশন কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা নিযুক্ত হলেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর নবগঠিত স্টাফ সিলেকশন কমিশনের আইনে বলা আছে চেয়ারম্যান এবং সর্বাধিক ৬ জন সদস্যকে নিয়ে কমিশন গঠন করতে হবে। মূলত এই পদগুলিতে কাদের নিয়োগ করা হবে, তা নিয়ে এখন নবান্নের অন্দরমহলে চলছে প্রবল তৎপরতা। সূত্রের খবর, কোনও অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি অফিসে গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে একটি বিশেষ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করেছিল রাজ্য। কিন্তু বছরখানেক আগেই মন্ত্রিসভা সেই বোর্ড তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে অবশ্য ওই বোর্ড পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রায় ৬ হাজার গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে প্রায় ৬০০০ গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকে রাজ্য সরকারের অফিস গুলিতে পরীক্ষার মাধ্যমে স্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ হয়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, এর জেরে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের শূন্য পদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রায় ৬০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। এই স্টাফ সিলেকশন কমিশন গঠন হওয়ার পরপরই ধাপে ধাপে এই শূন্যপদ পূরণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করেছে রাজ্য। বিশেষত ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক স্তরের সরকারি অফিসে ছয় হাজারেরও বেশি গ্রুপ সি নিয়োগ করা হয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্য জুড়ে সরকারি অফিসগুলিতে গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিতে পারে নবান্ন। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।