এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বোলপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে লাগাতার অপমান করছে কিছু ‘অশুভ শক্তি’, এই দাবি তুলে সোমবার বিকেলে মশাল মিছিল করলেন বোলপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শাসকদল তৃণমূলের কাউন্সিলাররাও। শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি এলাকা থেকে শুরু করে বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদের বাড়ি ‘প্রতীচী’ পর্যন্ত যায় এই মশাল মিছিল। স্থানীয়দের দাবি, অমর্ত্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলতে থাকা জমি জটিলতা আইনি ভাবে না মিটিয়ে নিগ্রহ করা হচ্ছে নোবেলজয়ীকে। যা একেবারেই কাম্য নয় বলে তাঁদের মত। পাশাপাশি, অমর্ত্যকে এই ভাবে হয়রান করার পিছনে কোনও ‘অশুভ শক্তি’ কাজ করছে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা। অমর্ত্যকে নিগ্রহ করা বন্ধ না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিগত কয়েক দিন ধরে লাগাতার কদর্য ভাষায় অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে। এর পিছনে রয়েছে কিছু ‘অশুভ শক্তি’। আসলে রবীন্দ্র ভাবনাকেই মুছে ফেলার প্রচেষ্টা চলছে। এর প্রতিবাদে আমরা প্রায়ই মিছিলের আয়োজন করব।’’ সম্প্রতি নোবেলজয়ী অমর্ত্যকে জমি খালি করার বিষয়ে অন্তিম সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। গত ১৯শে এপ্রিল রাতে ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করতে বলা হয়েছে অমর্ত্যকে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর তরফে। সময়সীমা শেষ হচ্ছে ৫ই মে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগামী ৬ই মে তাঁরা অমর্ত্যের বাড়ির সামনে জমায়েত করবেন।