ভোটমুখী কর্ণাটকে ফের অস্বস্তিতে সে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ১০ দিন বাকি। তার মধ্যেই সেরাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার মীনাকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন। মীনাকে সাফ জানানো হয়েছে, রাজ্য জুড়ে নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে, সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের বিজেপি মন্ত্রী ভি সোমান্নার বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধী প্রার্থীকে টাকা দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দিয়েছেন কর্ণাটকের আবাসনমন্ত্রী। আর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে সোমান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই শোনা গিয়েছে বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সোমান্নার গলা। চামারাজানগরের জনতা দলের প্রার্থী মল্লিকার্জুন স্বামীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন বিজেপি নেতা। তার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন বিজেপি নেতা সোমান্না।
স্বভাবতই এই অভিযোগ পেয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। এমনকী এই ঘটনা নিয়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। তারপরেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে আধিকারিককে। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সময়েই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, অর্থের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে ভোট প্রক্রিয়া। সেটা রোখাই কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বিজেপির মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে কমিশনের তরফে বলা হয়, মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ঘুষ বা ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নজর রাখা হবে কমিশনের অ্যাপেও।