শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের কাউন্ডডাউন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলায়। এবার ফের সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, এবার এই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরেই বিশেষ চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে। বাস্তবায়িত করা হচ্ছে ‘চোখের আলো’ কর্মসূচী। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলাশাসক ও সিএমওএইচদের চিঠি দিয়ে এজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এই শিবিরে নতুন করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত বা কারও নাম কার্ডের অন্তর্ভুক্ত করারও ব্যবস্থা থাকবে। এমনকী, এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের নাম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নথিভুক্ত রয়েছে, অথচ তাঁদের স্মার্ট কার্ড নেই। এই শিবির থেকে তাঁদের স্মার্টকার্ডের ব্যবস্থাও করা হবে বলে সূত্রের খবর। এই সরকারি পরিষেবাগুলি পাওয়ার জন্য কী কী বিষয় নজরে রাখতে হবে তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে এই শিবিরে। নবান্নের নির্দেশ, চোখ পরীক্ষার জন্য আবেদন জানানোর তিন দিনের মধ্যে তা দেখে, উক্ত ব্যক্তির চোখ পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করাতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য, দু’টি গ্রুপে ভাগ করে কাজ করা যেতে পারে। ৪৫ বছরের কম বয়স্ক এবং তার বেশি বয়সের মানুষ। এছাড়া, প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলে গিয়ে চোখ দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই স্বাস্থ্য শিবিরে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। যাঁদের চোখের ছানি কাটানোর বিষয় রয়েছে, তাঁদের জন্য এই শিবির থেকেই নিতে হবে পৃথক ব্যবস্থা। এছাড়াও, দুয়ারে সরকার থেকে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়েও জেলা প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। যাঁদের তা দেওয়া যাবে না, তা কেন দেওয়া যাবে না, তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ। আগামী ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। চলবে ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত। এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পগুলি থেকে মোট ৩২টিরও বেশি পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। ২০ এপ্রিলের মধ্যেই যাতে পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে বলে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার নিয়ে নবান্নের শীর্ষ মহল, বিভিন্ন জেলাগুলির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে।